বুধবার রাত একটা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে পান্ডুয়ার বৈঁচিতে মৃত ব্যক্তির নাম কৌশিক সরদার। তার বয়স ২৫ বছর। বাড়ি শিয়ালদা সোনারপুরে। জামাইষষ্ঠীতে বৈঁচি রায় পাড়ায় শ্বশুর বাড়িতে এসেছিলেন কৌশিক। দশহারা উপলক্ষে ত্রিবেণী থেকে স্ত্রী সহ বেশ কয়েকজন মিলে গঙ্গার জল আনতে যান। বৈঁচিতে জি টি রোড-এর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় এক মোটরবাইক আরোহী সজোরে এসে ধাক্কা মারে কৌশিককে। জি টি রোড-এর উপরেই ছিটকে পড়েন মোটরসাইকেল আরোহী ও জলযাত্রী কৌশিক। টহলরত পান্ডুয়া থানার পুলিশ দু’জনকে উদ্ধার করে পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে এলে কৌশিককে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। আহত মোটরবাইক আরোহীর পরিচয় এখনও জানতে পারা যায়নি। তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে চুঁচুড়া হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। মাত্র ৮ মাস আগে বিয়ে হয়েছিল কৌশিকের।
অন্যদিকে, মোটর ভ্যানে করে কুলটিতে মাছ ধরতে যাওয়ার পথে মোটরবাইকের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয় চারজন। বুধবার রাত একটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে পান্ডুয়ার ডিবিসি পাড়া এলাকায়। সূত্রের খবর, মোটর ভ্যানে করে কুলটিতে মাছ ধরতে যাচ্ছিল তিন্নার বাসিন্দা সুমিত ঘোষ ও পান্ডুয়ার শান্তিনগরের বাসিন্দা নিখিল মন্ডল-সহ আরও ২ জনে । সেই সময় পান্ডুয়ার ডি ভি সির কাছে উল্টো দিক থেকে আসা একটি মোটরবাইক সজোরে এসে ধাক্কা মারে মোটর ভ্যানে। গুরুতর আহত হয় মোটরবাইকের আরোহী বিক্রম ক্ষেত্রপাল ও অমিও ক্ষেত্রপাল। তাদের দুজনেরই বাড়ি পান্ডুয়ার দমদমা এলাকায় । এরপরে ৪ জনকে উদ্ধার করে পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের মধ্যে অমিও ও বিক্রমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের দু’জনকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। মোটর ভ্যানে থাকা নিখিল মন্ডল ও সুমিত ঘোষ তাদের পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। দুটি ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পান্ডুয়া থানার পুলিশ। মৃতদেহ পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে পান্ডুয়া থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়।