হাওড়ায় এক ব্যক্তির গাড়ি থেকে নগদ দু’কোটি সঙ্গে গয়নাও উদ্ধার হল। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার শিবপুরের পান্ডে বাড়ির সামনে। পুলিশ সূত্রে খবর, গোটা ঘটনার সূত্রপাত ১১ অক্টোবর। এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের নরেন্দ্রপুর শাখার তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। দেখা যায়-একাধিক অ্যাকাউন্ট থেকে ওই ব্যাংকের দু’টি অ্যাকাউন্টে অন্তত ২০ কোটি জমা হয়েছে। এরপর তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশের আর্থিক অপরাধ দমন শাখা। দেখা যায়, দু’টি সংস্থার নামে ব্যাংকের ওই শাখায় অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। সেখানেই প্রচুর টাকা জমা পড়ছে। অ্যাকাউন্ট মালিকদের সঙ্গে কথা বলে দেখা যায় অনলাইন কোর্সের নামে টাকা জমা করা হয়েছিল। আর এই চক্রের পিছনে রয়েছে শৈলেশ পান্ডে নাম এক ব্যক্তি।
তিনি শিবপুরের এক বিলাসবহুল আবাসন থাকেন বলে খবর। সেই সূত্র ধরেই এদিন সকালে শিবপুরের বাড়িতে অভিযান চালায় কলকাতা ও হাওড়া পুলিশ। বাড়িতে কেউ ছিলেন না। দেখা যায় বাড়িক সামনে ওই ব্যক্তির গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে। গাড়িতে তল্লাশি চালাতেই ২ কোটি টাকা উদ্ধার হয়। মেলে সোনা, রুপো ও হিরের গয়নাও। কিন্তু এই নগদ ও গয়না কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা এখনও অজানা। তবে এই অর্থ শৈলেশের আয় বর্হিভূত কিনা তাও এখনও পরিষ্কার নয়। পুলিশ শৈলেশের আয় খতিয়ে দেখছে।
প্রসঙ্গত, গত ১১ অক্টোবর অনিল কুমার নামে এক ব্যবসায়ী দাবি করেন, তাঁর সংস্থার কর্মচারী বিপুল টাকা হাতিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। কর্মচারী আইনুল হকের বিরুদ্ধে হেয়ার স্ট্রিট থানায় লিখিত অভিযোগও করেন তিনি। ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত। আইনুলের হাওড়ার শিবপুরের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। তবে ততক্ষণে সে পালিয়ে গিয়েছে। পরে আইনুলকে রেলগাড়ি থেকে জিআরপি-র মাধ্যমে গ্রেফতার করে তার কাছে থেকে মেলে নগদ ২০লক্ষ টাকা। এরপর ব্যাংকের লেনদেনের হিসেব খুঁজতে গিয়েই চক্ষু চড়ক গাছ পুলিশের।
কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নগদ উদ্ধার হচ্ছে। কখনও কারও ফ্ল্যাট, কারও বাড়ি কখনও আবার গাড়ি থেকেও মিলছে নগদের হদিশ। উদ্ধার হচ্ছে বিপুল গয়নাও। তা নিয়ে রীতি মতো ভাবিয়ে তুলেছে রাজ্য পুলিশ-প্রশাসনকে।
ফোর্টিন টাইমলাইন, হাওড়া।