নিজের স্ত্রী-কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির চুঁচুড়ায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় জখম মহিলাকে ভর্তি করা হয়েছে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে। পোলবার সুগন্ধা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভূমা গ্রামের বাসিন্দা প্রদীপ মেটে। তার স্ত্রী পূর্ণিমা মেটে। সুগন্ধার একটি বেসরকারি কলেজে কাজ করেন পূর্ণিমা।
আজ,শুক্রবার সকালে সাইকেল চালিয়ে কলেজে যাওয়ার সময় কামদেবপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে তার স্বামী প্রদীপ, পূর্ণিমার পথ আগল দাঁড়ায়। এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কোপাতে শুরু করে প্রদীপ। বাধা দিতে গেলে হাতের আঙুল কেটে পড়ে যায় পূর্ণিমার। তার চিৎকারে এলাকাবাসী জড়ো হন এলাকার মানুষ। পালিয়ে যাবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় প্রদীপ। তাকে ধরে ফেলে খবর যায় পোলবা থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। গুরুতর জখম অবস্থায় পূর্ণিমাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। অভিযুক্তের ভাই সুজিত মেটে বলেন,দাদার মাথাটা একটু খারাপ হয়েছে ইদানিং। কিছুদিন আগে আমার স্ত্রীকেও কুপিয়ে ছিল। তখন নিজেদের বাড়ির ব্যাপার বলে আর কেস করিনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রদীপের সঙ্গে পূর্ণিমার সম্পর্ক খুব একটা মধুর ছিল না। কলেজে কাজ করে সংসার চালাতেন পূর্ণিমা। অতিরিক্ত মদ্যপান এবং স্ত্রী-কে সন্দেহ করায় সাংসারিক অশান্তি চরমে উঠেছিল। গত দেড় মাস বাপের বাড়ি পোলবার মেঘসারে ছিলেন পূর্ণিমা। ভূমায় ফিরে আজ কাজে যাওয়ার সময় এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। বর্তমানে পূর্ণিমা গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
ফোর্টিন টাইমলাইন , হুগলি