হুগলি জেলা প্রশাসন গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে, মাছের যোগান বাড়াতে জেলার সব পুকুরের তথ্য ভান্ডার সমৃদ্ধ ‘জলাধার’ নামে একটি অ্যাপ তৈরি করল। গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে, মাছের যোগান বাড়াতে জেলার সব পুকুরের তথ্য ভান্ডার তৈরি করছে হুগলি জেলা প্রশাসন। নাম দেওয়া হয়েছে ‘জলাধার’। এর জন্য ‘জলাধার’ অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করে যে অ্যাপের মাধ্যমে জেলার জলাশয়ের তথ্য পাওয়া যাবে। পুকুর ভরাট করা হচ্ছে কি না অথবা পুকুর কি অবস্থায় রয়েছে তাও জানতে পারা যাবে এই অ্যাপের মাধ্যমে।
হুগলির জেলা শাসক পি দীপাপ প্রিয়া বলেছেন- জলাধারের মূল উদ্দেশ্য হ’ল মাছ চাষে উৎপাদন বাড়ানোর মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা। একশ দিনের কাজের মাধ্যমে বুজে যাওয়া পুকুর খনন করা হবে। তা থেকে ‘জল ধর, জল ভর’ প্রকল্পের কাজ যেমন চলবে ঠিক তেমনি চাষের কাজ বিশেষত সব্জি চাষে পুকুরের জল ব্যবহার করা হবে। প্রত্যেক পুকুরকে জিও ট্যাগ করে ইউজার গ্রুপ তৈরি করা হবে। অর্থাৎ কোনও একটি পুকুরের জন্য একটি ইউজার গ্রুপ থাকবে। তারা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য হতে পারেন আবার গ্রামীণ কিছু মানুষকে নিয়েও হতে পারে। তাদের কাজ হবে পুকুরের দেখভাল করা। আবর্জনা পুকুরে না ফেলা,আগাছা জমতে না দেওয়া। ফলে ডেঙ্গুর মত মশার উৎপাতও কমবে। এক কথায় পুকুর বা জলাশয়গুলির ব্যবহার হলে মানুষের উপকার হবে। হুগলি জেলার ৪০ হাজার এমন পুকুরকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ব্লক ধরে ধরে ম্যাপ তৈরি করে সমস্ত দফতরকে দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি জলাশয় এর মালিক যারা তাদেরকেও এর সঙ্গে যুক্ত করার ভাবনা রয়েছে। নতুন পুকুর এই অ্যাপে যোগ করতে চাইলে তা করা যাবে পাশাপাশি পুকুর বা জলাশয়ের স্বাস্থ্য রক্ষা করা যাবে। কারা ব্যবহার করছে, কি উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে তাও জানা যাবে। প্রশাসনিক বৈঠকে ড. দীপাপ প্রিয়া পি কি বলেছেন শুনব-
বুধবার হুগলি জেলা পরিষদে জলাধারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। জেলা শাসক আরও জানান, এখন শুধু প্রশাসনের আধিকারিকরা এই অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন। পরে সাধারণ মানুষও পারবেন। হুগলি জেলা পরিষদের সেমিনার হলে জলাধারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি মেহেবুব রহমান, অতিরিক্ত জেলা শাসক এবং কর্মাধ্যক্ষরা। কৃষি সেচ ও মৎস দপ্তরের আধিকারীকরা। এই অ্যাপ চালু হওয়ায় মৎস দপ্তরের কাজের অনেক সুবিধা হবে।জেলা শাসক জানান তিন মাসের মধ্যে বিডিওদের সব তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।
হুগলি থেকে দেবস্মিতা চক্রবর্তীর রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।