পুরীর রথের পর সব থেকে প্রাচীণ শ্রীরামপুরের মাহেশের ৬২৬ বছরের রথ যাত্রা। সকাল থেকেই ভক্তদের ভিড় মাহেশের মাসির বাড়ি মন্দির চত্বরে। জগন্নাথ বলরাম ও সুভদ্রাকে মন্দির প্রাঙ্গণের বাইরে নিয়ে আসা হয় ভক্তদের জন্য। সেখানেই চলছে পুজো পাট। পুজো দেওয়ার জন্য ভক্তদের দীর্ঘ লাইন চোখে পড়ে। নিরাপত্তার স্বার্থে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতে গত দু’বছর রথযাত্রা স্থগিত রাখা হয়েছিল। চলতি বছরে উল্টোরথযাত্রা হচ্ছে মহা সমারোহে।
সারাদিন ধরে চলবে উৎকল মতে পুজো পাঠ। আনুমানিক দুপুরের পর উল্টোরথের রশিতে টান পড়বে। মাহেশের রথ ম্যানিলা দড়ি দিয়ে টানা হয়। প্রথা অনুযায়ী তোপধ্বনী দিয়ে শুরু হয় রথযাত্রা। এই রথ ৫০ ফুট উচ্চতার,লোহার বারোটি চাকা। ভারতের দ্বিতীয় প্রাচীনতম রথযাত্রা মাহেশের রথযাত্রা। কলকাতার শ্যামবাজারের বসু পরিবার রথ তৈরি করে দিয়েছিল। সেই ১২৫ টনের লোহার রথ গড়াবে শ্রীরামপুরের মাহেশের রাজপথে। দু’বছর পরে রথের চাকা গড়াবে তাই ভক্তদের ঢল নামবে মাহেশে।পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তায় সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মেডিকেল ক্যাম্প, এ্যাম্বুলেন্স দলকম মোতায়েন থাকবে।
হুগলির মাহেশ থেকে দেবস্মিতা চক্রবর্তী রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।