দুর্গাপুজোর শেষ অর্থাৎ নবমীর দিনে সকাল থেকে প্রবীন ও প্রতিবন্ধীদের টোটোয় চাপিয়ে ঠাকুর দেখাতে বের হয়েছেন হুগলি জেলা সংশোধনাগার এলাকার টোটো চালকরা। জারপরনায় খুশি প্রবীণ নাগরিকরা।
সূত্রের খবর, সারা বছর অনেক বদনাম সহ্য করতে হয়। শহরের শ্লথগতির জন্য দায়ী, পুলিশের চোখ রাঙানি অনেক কিছুই দেখতে হয় তাদের। পুজোর সময় কিছু বাড়তি আয়ের ভাবনা তাদেরও থাকে। তবে এবার পুলিশের কড়াকড়ি থাকায় বিকেল থেকে শহরে বন্ধ থাকছে টোটো চলাচল।
এবিষয়ে টোটো চালক স্বপন মন্ডল জানান, সারা বছর টোটো চালিয়েই আয় করেন তিনি। পুজোর একটা দিন বয়স্ক মানুষ যারা পায়ে হেঁটে ঠাকুর দেখতে যেতে পারেন না তাদের নিয়ে মন্ডপে মন্ডপে ঘোরেন। খুব ভালো লাগে।
টোটো চালক তারক সাহা বলেন, শহরে যানজটের সৃষ্টি হয় টোটোর কারনে, এটা সত্যি। তার বক্তব্য, এত বেকার লোক টোটো না চালালে কি করে তাদের পেট চলবে সেটা যেমন ভাবার, পাশাপাশি প্রশাসনের দেখা উচিৎ বাইরে থেকে যেসব টোটো হুগলি-চুঁচুড়ায় ঢুকছে সেই টোটোগুলিকে আটকানো। যে যার এলাকায় চালালে হয়ত এত যানজট হবে না। তিনি আরও জানান, পুজোর সময় অন্য বার তাদের বাড়তি কিছু আয় হয় কিন্তু এবছর পুলিশ সব রাস্তায় ‘নো এন্ট্রি’ করে দিয়েছে। সমস্যা থাকলেও তারা হাসি মুখে কিছু মানুষকে আনন্দ দিতে পেরে আমরাও আনন্দিত।
প্রবীণরা বলেন, ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে খুব ভালো লাগছে,পায়ে ব্যাথার জন্য হাঁটতে পারিনা। টোটো চালক ভাইরা যে এমন ব্যবস্থা করেছে যার জন্য মন্ডপে গিয়ে ঠাকুর দেখতে পাচ্ছি।
হুগলি থেকে দেবস্মিতা চক্রবর্তীর রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।