পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই তুষের আগুনের মতো দুটি রাজনৈতিক দলের বিবাদ এসে রাস্তা কাটায় শেষ হল। এমনই অভিযোগ উঠেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ঢোকার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন প্রতিবেশী তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থক। অভিযুক্ত প্রতিবেশী তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী হওয়ায় এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজনীতির হাওয়া লেগেছে সংশ্লিষ্ট এলাকায়। কোচবিহার জেলার জামালদহের উছলপুকুরি গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্যাধপাড়া এলাকায় এমন অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে।
অভিযোগ, ঘটনার সূএপাত গত বুধবার দিনের বেলায়। বিজেপি করার অপরাধে চন্দন ব্যাধ ও তার স্ত্রী-কে মারধর করে তারই প্রতিবেশী সাবলু ব্যাধ ও তার বাবা। একইসঙ্গে তাদের বাড়ি ঢোকার রাস্তাও বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। শুক্রবার সেই অশান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছয়। এদিন চন্দন ব্যাধের বাড়ি ঢোকার রাস্তা কেটে ফেলা হয় বলে অভিযোগ। এবিষয়ে মেখলিগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন চন্দন ব্যাধের স্ত্রী। সাবলু ব্যাধ-সহ তিনজনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন সাবলু ব্যাধ।
অন্যদিকে, স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা বানী বর্মন জানান- ভোটের আগে থেকেই শাসকদল এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ত্ব কায়েম করেছিল। চন্দন ও তার পরিবার বিজেপি করে বলে জোর করে তাদের বাড়ি ঢোকার রাস্তা কেটে বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের মেখলিগঞ্জ ব্লক সভাপতি কেশবচন্দ্র বর্মন। তিনি জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ ওই দুটি পরিবারের জমি নিয়ে বিবাদ চলছিল। সেই ঘটনা তারই পুনরাবৃত্তি।
যদিও কারোর বাড়ির প্রবেশদ্বার আটকানো যায় কি না সেবিষয়ে তৃণমূল নেতারা সাংবাদিকদের কাছে খোলসা করে কিছু বলেননি।
অন্যদিকে, এমন ঘটনায় এলাকায় রাজনৈতিক আবহাওয়া যে ক্রমশ গরম হচ্ছে তা বলাই বাহুল্য।
ফোর্টিন টাইমলাইন, জামালদহ, মেখলিগঞ্জ, কোচবিহার।