Islampur : এক শিক্ষিকা দিয়ে বিদ্যালয় চলায় স্কুল ছাড়ছে পড়ুয়ারা

আরও পড়ুন

বিদ্যালয়ে পঠন পাঠন ঠিক মতো না হওয়ায় বিদ্যালয় থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা। ঘটনাটি উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর ব্লকের মাটিকুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাঙ্গাপাড়া জুনিয়র হাইস্কুলের। ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ, তারা নিয়মিত বিদ্যালয়ে এলেও শিক্ষকের অভাবে পাঠ না নিয়েই তাদের বাড়ি ফিরে যেতে হয়। দিনের পর দিন একই অবস্থা চলায় অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দিয়েছে।

অবিভাবকরা জানান, বিদ্যালয়ে একাধিকবার শিক্ষকের দাবি জানানো হলেও অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি। পঠন পাঠনের অভাবে ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দিচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিদ্যালয়ের একমাত্র শিক্ষিকা। বিদ্যালয়ের এই করুন চিত্র জেলার উচ্চপদস্থ কর্তাদের জানিয়েছে ইসলামপুর মহকুমা শিক্ষা দফতর। জেলা শিক্ষা দফতর শিক্ষক নিয়োগ না করায় ডাঙ্গাপাড়া জুনিয়র হাইস্কুলে পঠন পাঠনের সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় ও তার আশপাশে কোনও স্কুল না থাকায় পড়াশোনায় অসুবিধে হচ্ছিল স্থানীয় ছাত্রছাত্রীদের। অন্যদের তুলনায় ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছিল ওই গ্রামের পড়ুয়ারা। বিষয়টি উপলব্ধি করতে পেরে গ্রামে বিদ্যালয় তৈরির জন্য উদ্যোগী হন ডাঙ্গাপাড়ার বাসিন্দা আব্দুল রসিদ। বিদ্যালয় তৈরির জন্য তিনি জমি দান করেন। ১২ বছর আগে রাজ্য সরকার ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় একটি জুনিয়র হাইস্কুল তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয়। বিদ্যালয়ে একমাত্র স্থায়ী শিক্ষিকা ও চারজন গেষ্ট টিচার দিয়ে বিদ্যালয় শুরু করা হয়েছিল । ধীরে ধীরে গেষ্ট টিচার বিদ্যালয় থেকে অবসর নিলেও আর কোনও শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ করেনি জেলা শিক্ষা দফতর কিংবা রাজ্য সরকার। ফলে একমাত্র শিক্ষিকা দিয়েই চলছে ডাঙ্গাপাড়া জুনিয়র হাইস্কুল বলে অভিযোগ।

বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৩৮৬ জন। বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা এলে দিনে চারটি ক্লাস নিতে পারেন। একটি ক্লাস চালু হলে বাকি ক্লাসগুলি বন্ধ থাকে। ছাত্র-ছাত্রীদের মিড-ডে-মিল দিয়েই বিদ্যালয় ছুটি দেওয়া হয়। ফি-বছর পঠন-পাঠন একইভাবে চলায় ছাত্রছাত্রীরা বিদ্যালয়ে আসার উৎসাহ হারিয়ে ফেলছে। সঙ্গত কারনেই বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা বিদ্যালয় বিমুখ হয়ে পড়ছে। বর্তমানে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা তলানিতে এসে ঠেকেছে। বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, অবিভাবক এবং জমিদাতা প্রত্যেকেই বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত শিক্ষকের দাবি করেছেন। বিদ্যালয়ের একমাত্র শিক্ষিকা জানিয়েছেন- একমাত্র শিক্ষিকা দিয়ে বিদ্যালয় তাঁর পক্ষে চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ছে। নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা সঠিক শিক্ষাদানের অভাবে তাদের ভবিষ্যত চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত শিক্ষকের জন্য শিক্ষা দফতরকে জানানো হলেও এখন পর্যন্ত অতিরিক্ত শিক্ষক দেওয়া হয়নি। ডাঙ্গাপাড়া জুনিয়র হাইস্কুলে শিক্ষকের অভাব বিষয়টি তাদের নজরে আছে। অরিরিক্ত শিক্ষকের জন্য জেলা শিক্ষা দফতরকে তারা জানিয়েছেন। দ্রুত অতিরিক্ত শিক্ষক দিয়ে পঠন-পাঠন স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

ফোর্টিন টাইমলাইন, ইসলামপুর।

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close