ইসলামপুর হাসপাতালের পর এবার ইসলামপুর শহরকে জবরদখলমুক্ত করতে উদ্যোগ নিল ইসলামপুর পুরসভা। জবর দখলদারদের উচ্ছেদের উদ্দেশে সাতদিনের সময় সীমা বেঁধে দিল স্থানীয় পুর-প্রশাসন। সাত দিনের মধ্যে জবরদখল সরিয়ে না নিলে আগামীতে পুরসভার পক্ষ থেকে বেআইনি নির্মাণ ভেঙে দেওয়ার জন্যও হুঁশিয়ারী দেওয়া হয়েছে। ইসলামপুর ব্যাবসায়ী সংগঠন মনে করে- ইসলামপুর শহরকে যানজট মুক্ত করতে হলে শহরকে দখলমুক্ত করা জরুরী। ইসলামপুর পুরসভা যে ভূমিকা গ্রহণ করেছে ব্যবসায়ী সংগঠন পুরসভার এহেন উদ্যোগের পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছে।
প্রসঙ্গত,ইসলামপুর শহরের ওপর দিয়ে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক বাইপাস হয়ে যাওয়ার পরও শহরে যানজট মুক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। পুরসভার পক্ষ থেকে বিশেষজ্ঞদের দিয়ে সমীক্ষা করিয়ে জানতে পেরেছে- জবর দখলই শহুরে যানজটের মূল কারন। জবরদখলকারীদের উচ্ছেদ করা না গেলে এই সমস্যা থেকেই যাবে। ইসলামপুরের বেশ কিছু ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান দোকান ছেড়ে রাস্তায় সামগ্রী সাজাচ্ছে। গাড়ি চলাচলের রাস্তা সরু হয়ে যাওয়ার কারনে শহরে প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ইসলামপুর পুরসভার তরফে ইতিমধ্যেই মহকুমা হাসপাতালের জবরদখলকারীদের নির্বিঘ্নে দখলমুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। ইসলামপুর শহরকে যানজট মুক্ত করে পরিচ্ছন্ন শহর গড়ে তুলতে এবারে উদ্যোগী হল ইসলামপুর পুরসভা। ইসলামপুর পুরসভার নির্বাহী আধিকারিক আরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ইসলামপুর শহরে জবরদখল উচ্ছেদের অভিযানে নেমেছে। জবর দখলকারী ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে আগামী সাত দিনের মধ্যে দখল মুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই সময়কালে দখলমুক্ত করা না হলে আগামীদিনে পুরসভা অভিযানে নেমে সরকারি জমি দখলমুক্ত করবে। যদিও পুরসভার এই ভূমিকায় খুশি ইসলামপুর ব্যাবসায়ী সংঘ। শহরে যাতায়াতের রাস্তা সরু হওয়ার কারনে সঠিকভাবে যান চলাচল করানো সম্ভব হচ্ছে না। বেশ কিছু ব্যবসায়ী নিজের প্রতিষ্ঠান ছেড়ে প্রতিষ্ঠান রাস্তায় নিয়ে এসেছেন। স্থানীয় বণিকসভা মনে করে- শহরকে যানজটমুক্ত রেখে শহরকে সুন্দর করতে জবর দখরকারীদের উচ্ছেদ করা প্রয়োজন। সেই কাজে পুরসভার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা।
উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর থেকে উত্তম পালের রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।