এই সময় বৃষ্টি আমের পক্ষে ভালো। তুখড় তাপপ্রবাহের পর বৃষ্টি আসলে আমরা যেরকম স্বস্তি পাই সেই রকম আমের পক্ষেও সেই সময়টা খুব স্বস্তিদায়ক হয়। কিন্তু, মঙ্গলবার রাতে আচমকা ঝড় এবং হালকা শিলা বৃষ্টির কারণে আম চাষের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝরে পড়েগেছে জেলার একাংশ গাছের আম। চরম ক্ষতির আশঙ্কা করছে চাষীরা। বুধবার সকালে অধিকাংশ এলাকার উদ্যানপালন কর্তারা ঘুরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখে। পাশাপাশি চাষীদের পাশে থাকার আশ্বাসও দেন তারা।
দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গতবার মালদা জেলায় ৩১ হাজার হেক্টর জমিতে আম ফলে ছিল। ফলন হয়েছিল প্রায় তিন লক্ষ ৭৫ হাজার মেট্রিকটন। এবারে চাষের এলাকা বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৩১ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে আম এর বাগান হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই বছর গাছে ভালো মুকুল এসেছিল। ফলে,এবার রেকর্ড ফলন হওয়ার ব্যাপারে দপ্তর আধিকারিকরা আশাবাদী ছিলেন।
কিন্তু, বুধবার রাতে ঝড় ও শিলা বৃষ্টির কারণে জেলার একাংশের আম ঝরে গেছে। যার ফলে ফলন কিছুটা কমে যাবে। মালদা জেলার উদ্যানপালন দপ্তরের অধিকর্তা সামন্ত লায়েক জানান “ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে মালদা জেলার মানিকচক, রতুয়া, গাজোল , এবং ইংলিশ বাজার ব্লকের কিছুটা অংশ আম বাগানের আম ঝরে পড়েছে। সকাল থেকেই আমাদের দফতরের কর্তারা এলাকাগুলি পরিদর্শন করেছেন।”
একদিকে আমের ফলনে ক্ষতি হলেও অন্যদিকে বৃষ্টিতে লিচুর ফলনের ক্ষেত্রে ভালো হয়েছে। আমাদের দপ্তর সব সময় আমচাষীদের পাশে রয়েছেন।ওয়েস্ট বেঙ্গল এক্সপোটার্স অডিশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক উজ্জল সাহা জানান, ” ঝড়ো হাওয়া ও শিলাবৃষ্টিতে জেলার একাংশে আমের ভালো ক্ষতি হয়েছে। আম চাষীরা ইতিমধ্যেই দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েছে। এই বছর আমেরে মুকুল যেভাবে গাছে এসেছিল তাতে আমরা অনেকটাই আশাবাদী ছিলাম যে, এই বছর ভালো পরিমাণে আমের ফলন হবে। কিন্তু, এই ঝড়-বৃষ্টিতে কিছুটা হলেও আমাদের আমের ফলন মার খাবে।”