ফের কাশ্মীরে কাজ করতে গিয়ে মৃত মালদহের শ্রমিকের। এবার উগ্রপন্থিদের ছোড়া গুলিতে নয় ম্যাটাডোর দুর্ঘটনায় কবলে পড়ে মৃত্যু ওই শ্রমিকের। ঘটনায় গুরুত্বর জখম আরও সাত জন শ্রমিক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৃত ওই শ্রমিকের নাম নবাব শরীফ (২২)। বাবার নাম মনিরুল হক। ওই ঘটনায় জখম শ্রমিকরা হল আনিসুর রহমান (৩৫), মজিবর রহমান (৪৫), ইস্টাব আলি (৫০) শহিদুর রহমান ৫০), জাফর আলী (২৭) আবু কালাম (২৫), আনসুর রহমান (৫২)। প্রত্যেকের বাড়ি চাঁচোল ২ নম্বর ব্লকের চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের গোয়ালপাড়া গ্রামে।
জানা যায় গত রবিবার কাশ্মীরে গিয়ে ধান রোপণের কাজে যোগদেন।সেদিন ধানের বীজ ট্রাকে নিয়ে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাক উল্টে যায়,ঘটনায় একজনের মৃত্যূ হয় ও নয়জন শ্রমিককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বিএসএফ জওয়ানরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। ঘটনার খবর গ্রামে পৌঁছতেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে পরিবারগুলি। এদিন দুপুরে আহতরা সকলেই গ্রামের বাড়িতে ফিরেছে। মৃত শ্রমিকের উপরেই নির্ভরশীল গোটা পরিবার। চাষের জমি এবং বাস্তু ভিটে টুকুই সম্বল । প্রসঙ্গত,বাড়িতে অভাব অনটন দেখেই ভিনরাজ্যে পাড়ি দিয়েছিল নবাব শরীফ। দীর্ঘদিন ধরেই সে কর্মরত ছিল সেখানে তবে এরকম এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা হবে তা কল্পনাও করতে পারেনি নবাবের পরিবার। ছেলের অকাল মৃত্যুতে সব যেন বেরঙিন হয়ে গেল।মৃত শ্রমিকের বাবা লি বলছেন শুনব একবার –
উল্লেখ্য, গুরুতর জখম হওয়া শ্রমিকরাও বিমানে করে চাঁচলের গোয়ালপাড়া গ্রামে ফিরেছে। ওই দুর্ঘটনায় এক আহত শ্রমিক আবুল কালাম বলেন, কিছু দিন আগেই আমরা কাশ্মীরে গিয়েছিলাম বাড়তি উপার্জনের আশায়। সেখানে গিয়ে বেশ কিছুদিন কাজ পাইনি। গত রবিবার একটি সংস্থার তরফ থেকে জমিতে ধান রোপনের কাজ পেয়েছিলাম। চাঁচল গাজোল উত্তর দিনাজপুর জেলার ১০ জন শ্রমিক একটি ম্যাটাডোর করে কাজে যাচ্ছিলাম। সেই সময় হঠাৎ মারুতি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। ঘটনায় গুরুতরভাবে প্রত্যেকেই জখম হন। কেন্দ্র বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে প্রত্যেককে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় গাজলের শ্রমিক নবাব শরিফের মৃত্যু হয়। এদিন আমরা বাড়ি ফিরে এসেছি। যখন শ্রমিকরা প্রত্যেকেই সুস্থ রয়েছে।ইতিমধ্যেই ঘটনার খবর পেয়ে শোক প্রকাশ করেছেন মালতিপুর বিধানসভার বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি। উল্লেখ্য বুধবার মৃত শ্রমিকের পরিবারের পাশে দাঁড়ান তিনি। এদিন তিনি মৃতের পরিবারকে শোকার্ত সমবেদনা জানানোর সঙ্গে সঙ্গে তারা যেন সরকারিভাবে সবরকম সুযোগ-সুবিধা পাই সেদিকেও নজর রাখবেন বলে আশ্বাস দেন। সরকার সাহায্যের হাত বাড়ালে পরিবারে কিছুটা হলেও সুরাহা হবে। এই বিষয়ে মালতিপুর বিধানসভার বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি কি বলছেন শুনব –