“সাবিনা ইয়াসমিনকে চাইনা, সাবিনা হাটাও তৃণমূল বাঁচাও” এমনই শ্লোগানে পোস্টারে পোস্টারে উচ্ছসিতপূর্ণ মালদার মোথাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্র। কালিয়াচক দু’নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুধীর দাসের নেতৃত্বে বিভিন্ন জায়গায় এই পোস্টার দেওয়া হয়েছে। পোস্টার দেওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বিস্ফোরক মন্তব্য ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতির।
তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুধীর দাস বলেন, মন্ত্রী হয়ে উনি ভাবছেন,” যত টাকা হয় কালেকশন করে নেব আর বাড়িতে বসে যাব। এটাই ওর মানুষিকতা। যেভাবে কংগ্রেসকে ভেঙেছে সেই ভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভাঙছে। পুরনো কর্মীদেরকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। আমরা জেলা সভাপতিকে জানিয়েছি কিন্তু তিনি সাবিনার কাছের লোক। সাবিনা যা বলবে জেলা নেতৃত্ব তাই করবে। কেবল সাবিনা রাজনীতি করবে আর বাকি কেউ রাজনীতি করবে না। তৃণমূলকে বাঁচাতে হলে জেলা সভাপতিকে সরানো হোক। ক্ষমতা খর্ব করা হোক সাবিনার। না হলে উত্তরবঙ্গের মানুষ আমাদের থেকে সরে যাবে। মোথাবাড়ি মানুষের সঙ্গে কথা বলে দেখবেন আমি যদি অপরাধী হয় তাহলে পদ ছেড়ে দেব। রাজ্য নেতৃত্বকে বলছি এখনই ব্যবস্থা নিন না হলে পুরনো কর্মীরা বাড়িতে বসে যাবে। সেই প্রচেষ্টাই করছে সাবিনা।”
ব্লক সভাপতির এই মন্তব্য প্রসঙ্গে মোথাবাড়ির বিধায়ক তথা রাজ্যের সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন,” ব্লক সভাপতি ভাবছেন উনি আর ব্লক সভাপতি থাকবেন না। তাই এইসব মন্তব্য করছেন। বিভিন্ন জায়গায় দলীয় কর্মীদের মারধর করছেন মস্তানি করছেন। এইসব বরদাস্ত করা হবে না। ১৩ বছর ধরে রাজনীতি করছি মোথাবাড়ি একজন মানুষ যদি আমার বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেন তাহলে এমএলএ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেব।”
এই বিষয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, যারা পোস্টার দিয়েছেন তারা সঠিক কাজ করেননি, দল বিরোধী কাজ করেছেন। কে বা কারা পোস্টার দিয়েছে বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে সাবিনা ইয়াসমিন ভালো কাজ করছেন। ব্লক সভাপতিকে ডেকে কথা বলব ওনার যদি কোনো বক্তব্য থাকে তাহলে দলের ফোরামে সেটা বলতে হবে।”
এই নিয়ে শাসক দলকে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি পার্থ সারথী ঘোষ বলেন,”এটা নতুন কিছু নয়। তৃণমূল দলটা হচ্ছে সুবিধাবাদীদের প্লাটফর্ম। নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এই পার্টিটা করে। যেদিন পার্টি থাকবে না কেউ ভুলেও বলবে না যে তারা কোনদিন তৃণমূল কংগ্রেস করত।”