পুলিশ আধিকারিকদের কাছে পড়াশোনা করে পুলিশের চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন ৮৮ জন পরীক্ষার্থী। মালদা জেলার পুলিশকে এবার চোর-ডাকাতদের পিছন ছেড়ে পড়াতে দেখা গেল। পুলিশ আধিকারিকদের কোচিং পেয়ে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ায় বেজায় খুশি পরীক্ষার্থীরা।
মালদা জেলার আইন-শৃঙ্খলা সামলে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগের চাকরি প্রার্থীদের কোচিং-এর মাধ্যমে মক ইন্টারভিউ টেস্ট করিয়ে সাফল্য পেয়েছে মালদা জেলার পুলিশ। ২২ জন সিভিক ভলান্টিয়ার এই কোচিংয়ে যোগ দিয়েছিলেন। তার মধ্যে ১৭ জনই সোমবার কনস্টেবল পদে চাকরির নিয়োগপত্র পেয়েছেন। শুধু তাই নয় ৫২ জন সাধারণ পরীক্ষার্থীও এই প্রশিক্ষণ পেয়ে সোমবার পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগপত্র পেয়েছেন। মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের মোট ১০০ জন পরীক্ষার্থী মালদা জেলা পুলিশ লাইনে কোচিং-এ যোগ দিয়েছিলেন। এই কোচিং-এ পরীক্ষার্থীদের মক টেস্ট ইন্টারভিউ করানো হয়।
মালদা জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদবের উদ্যোগে এই মকটেস্টের আয়োজন করা হয়েছিল। মালদা জেলা পুলিশের একজন ডিএসপি ইন্সপেক্টর ও কনস্টেবল মিলিয়ে মোট ১০ জন নিয়মিত চাকরি প্রার্থীদের ইন্টারভিউর আগে মকটেস্ট ইন্টারভিউ নেন। তাদের কোচিং করানো হয়।
এক চাকরী প্রার্থী জানান, ‘মালদা জেলায় ভালো মকটেস্ট করানোর মতো কোচিং সেন্টার নেই। ফলে অনেকের ইচ্ছে থাকলেও তা করা সম্ভব হচ্ছিল না। মালদা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এমন ব্যবস্থা করে দেওয়ায় অনেকটাই সুবিধে হয় তাদের।
সবার ধারণা, পুলিশের কাজ শুধু চোর-ডাকাত ধরা। আবার অনেকক্ষেত্রেই পুলিশ দেখলেই তাদের এড়িয়ে চলেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু পুলিশও এখন নানান সামাজিক কার্যকলাপে নিজেদের যুক্ত করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে চলেছে। পুলিশ আধিকারিকদের এই ভূমিকার মুগ্ধ সকলেই।
ফোর্টিন টাইমলাইন, মালদা।