একশো দিনের কাজের টাকা লুট করছে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত। এমনই অভিযোগে মতিহারপুরে বিক্ষোভ কর্মসূচি হল বামেদের। দিনমজুরদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের একশ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি চলছে মালদা জেলার তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতগুলিতে। কাজ না করেই শাসকদলের পঞ্চায়েত সদস্যরা নিজেদের আত্মীয়দের জবকার্ডের কাজের মাষ্টাররোল করছে। ফলে কাজ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রকৃত গরিব শ্রেণির শ্রমিকরা। এলাকায় কাজ না পেয়ে তারা ছুঁটছেন ভিনরাজ্যে। এই অভিযোগ তুলে পঞ্চায়েতে লাগামহীন দুর্নীতি ঠেকাতে আন্দোলনে নেমেছে বাম সংগঠন। দলীয় সূত্রে খবর, মালদার জেলা ১৪৬ টি পঞ্চায়েতেই তারা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ডেপুটেশন জমা বিক্ষোভ অবস্থান করবে। পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার মালদার চাঁচল ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাইরে বাম-পন্থী সংগঠন বিক্ষোভ দেখান। এদিন পঞ্চায়েত দফতরের সামনে তুমুল বিক্ষোভ দেখান সিপি(আই)এমের নেতা কর্মীরা। নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রাজ্য সিপি(আই)এম কমিটির সদস্য জামিল ফিরদৌস। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মতিহারপুর অঞ্চল সিপি(আই)এম কমিটির আহ্বায়ক সানাউল্লাহ খান-সহ শতাধিক বাম নেতা কর্মীরা। সরকারি প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি বন্ধের দাবিতে দীর্ঘক্ষণ চলে এই বিক্ষোভ। পুলিশ ঘটনাস্থলে মোতায়েন থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখে। বিক্ষোভের পর পাঁচজনের প্রতিনিধি দল তাদের দাবিপত্রের স্মারকলিপি তুলে দেন প্রধানের হাতে।
সিপি(আই)এমের রাজ্য কমিটির সদস্য জামিল ফিরদৌসের অভিযোগ, একশো দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরা ভাগ বাটোয়ারা করে খাচ্ছে। কাজ না করেই একাধিক প্রকল্পের টাকা পকেটে ভরছে। পুকুর খনন না করেই মাষ্টার রোল করে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি হর্টিকালচার স্কীমের কলাচাষ ও বিভিন্ন প্রজাতির গাছ না লাগিয়ে টাকা তুলে নিচ্ছে। সাধারণ মানুষকে বেকায়দায় ফেলছে তৃণমূল। প্রকৃতরা বঞ্চিত থাকছে সরকারি প্রকল্প থেকে। দুর্নীতির দুর্নীতির আতুড়ঘর হয়ে উঠেছে মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। এই পঞ্চায়েত এলাকার একাধিক রাস্তা এখনও কাঁচা রয়েছে। আর তৃণমূল দাবি করছে- উন্নয়নের জোয়ার বইছে। সমস্তরকম দুর্নীতি ঠেকাতে বামফ্রন্টই পারবে।
ফোর্টিন টাইম লাইন, মালদা।