দেশের হয়ে ২০০ মিটার দৌড় প্রতিযোগীতায় দৌড়োনোর কথা ছিল রায়গঞ্জের আলমাস কবিরের। কিন্তু পাসপোর্টে গোলোযোগ থাকায় প্রথমবার দেশের হয়ে দৌড়ানো হলোনা আলমাসের। তার জন্য এখন আফসোস করছে আলমাস।
সূত্রের খবর, এবছর কুয়েতে বসেছে অনুর্দ্ধ ১৮ এশিয়ান চাম্পিয়নশিপের আসর। আর সেই আসরে রিলস ও ২০০ মিটার দৌড়ে দৌড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল রায়গঞ্জের শীতগ্রাম এলাকার টিওরডাঙ্গি গ্রামের ১৭ বছর বয়সী কিশোর আলমাস কবির। সে স্বপ্ন দেখেছিল দেশের হয়ে প্রথমবার মেডেল ছিনিয়ে আনার। কিন্তু পাসপোর্টে গোলোযোগ থাকায় আলমাসের সেই স্বপ্ন ভেঙে যায়। নিয়ম অনুয়ায়ী পাসপোর্টের মেয়াদ ৬ মাস থাকা জরুরী কিন্তু পাসপোর্টে তা না থাকায় ভিসা পায়না সে। আলমাস জানায়, কলকাতা অফিসে পাসপোর্টের জন্য জরুরীভিত্তিক আবেদন করেছিল সে,পাসপোর্টও পেয়েছিলেন কিন্তু ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে যে নিয়ম থাকার প্রয়োজন তাঁর তা জানা ছিল না। যদি বিষয়টি পাসপোর্ট অফিস থেকে গুরুত্ব সহকারে দেখা হতো তাহলে হয়তো এই ঘটনাটি ঘটতো না বলে জানায় সে।
রবিবার কুয়েতে ২০০মিটার দৌড় ও রিলসের প্রতিযোগীতা চললেও মাঠে থাকার বদলে বাড়িতে বসেই সেই খেলা দেখতে হল আলমাসকে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০ মিটার দৌড় প্রতিযোগীতায় রাজ্যের হয়ে জাতীয় স্তরে মেডেল জেতে আলমাস। এরপর গত ২১ সেপ্টম্বর তাকে দেশের হয়ে রিলস ও দৌড় দুই বিভাগে প্রতিনিধিত্ব করার কথা অনুযায়ী গত ১১ অক্টোবর কুয়েত যাওয়ার জন্য দিল্লি থেকে বিমানে করে যাওয়ার জন্য তৈরি হয় আলমাস। এরপর সে দেখে তার ভিসা অনুমোদন হয়নি। এই কথা শুনে দেশের হয়ে প্রথমবার বিদেশের মাটিতে দৌড়ানোর জন্য তার মন ভারাক্রান্ত হয়ে যায়। এই ঘটনার জেরে ভারাক্রান্ত আলমাস-সহ তার আত্মীয়-প্রতিবেশীদের।
তবে আলমাস জানায় সে আবারও প্রস্তুতি নেবে। আবারও দেশের হয়ে অংশ গ্রহণ করবে অন্য কোনও প্রতিযোগীতায়। কুয়েতে না যেতে পারলেও আবারও দেশের হয়ে খেলার প্রচেষ্টায় খুশি তার পরিবার।
ফোর্টিন টাইমলাইন, মালদা।