Malda : অ্যাম্বুলেন্স চালকেরা অতিরিক্ত ভাড়া চাওয়ায় ক্ষোভ

আরও পড়ুন

অতিরিক্ত ভাড়া জোগাড় করতে না পারায় হাসপাতালের বাইরে পড়ে রইলেন গর্ভবতী মহিলা। চালককে অনুরোধ করেও মেলেনি পরিষেবা। এই নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন রোগীর আত্মীয়-পরিজনেরা। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে।

সূত্রের খবর, হাসপাতাল চত্বরে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকে অ্যাম্বুলেন্স। তবে অতিরিক্ত ভাড়া না দিলে মেলে না পরিষেবা। অতিরিক্ত ভাড়া জোগাড় করতে না পেরে হাসপাতালের বাইরে দু’ঘণ্টা যাবত পড়ে থাকলেন এক গর্ভবতী মহিলা। এমনকি অ্যামবুলেন্স চালক থেকে শুরু করে ডাক্তারবাবুদের অনুরোধ করেও পরিষেবা পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ। এই অতিরিক্ত ভাড়া চাওয়াকে কেন্দ্র করে এদিন অ্যামবুলেন্স চালক, ডাক্তার ও চেন মাস্টারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান রোগীর আত্মীয়রা। চিকিৎসকদের যোগসাজশে হাসপাতালে এই ধরনের দুর্নীতি চলছে বলে সরাসরি অভিযোগ তোলেন তারা।

সূত্রের খবর, মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা তারিখ আনোয়ার তার দশ মাসের গর্ভবতী স্ত্রী আসমিন খাতুনকে গত বৃহস্পতিবার হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করান। হাসপাতালে তিনদিন থাকার পর রোগীর বেগতিক অবস্থা দেখে চিকিৎসকেরা তাকে শনিবার চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। ওই হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়ে থাকা অ্যামবুলেন্স চালক ও চেন মাস্টারকে বলতে গেলে তারা অতিরিক্ত ভাড়া হিসেবে ৪০০ টাকা দাবি করে বলে অভিযোগ। এই টাকা না দিলে অ্যামবুলেন্সের চাকা ঘুরবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন চেন মাস্টার। এতেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন রোগীর আত্মীয়রা। শেষ পর্যন্ত হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অমল কৃষ্ণ মণ্ডলের আবেদনে সরকারি ভাড়ায় ওই গর্ভবতীকে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলেই খবর।

হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতাল থেকে চাঁচলের দুরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার। এর জন্য সরকারিভাবে ভাড়া ৪৫০ টাকা বেঁধে দেওয়া আছে। এই ভাড়াতে তাদের হবে না বলেই অতিরিক্ত টাকা দাবি করেছে।

মালদার হরিশচন্দ্রপুর থেকে অভিষেক সাহার রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close