Malda: ফের নাবালিকা ধর্ষণের চেষ্টা

ফের নাবালিকা ধর্ষণের চেষ্টায় অভিযুক্ত চার। ঘটনায় ধরা পড়েছে দুইজন।

আরও পড়ুন

ফের এক নাবালিকাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠলো কয়েকজন যুবকের উপর। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার বৈষ্ণবনগর এলাকায়। চারজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি দুই অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি করছে পুলিশ।

পুলিশ ও পরিবার সুত্রের খবর, বাড়িতে দুই মেয়ে একাই ছিল। নির্যাতিতা মেয়েটি স্থানীয় স্কুলের অষ্টম শ্রেণীতে পড়াশোনা করে। বাবা ভিন রাজ্যে কাজ করে। তার মা কোনো কাজে বাড়ির বাইরে গিয়েছিল। সেই এলাকার চার যুবক বাড়ির উঠোন থেকে মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে। তখন নাবালিকা মেয়েটি চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে। সেই সময়ে তার বাবা মা ওই পথ দিয়ে ফিরছিল। তখন তারা সেই চার যুবককে ধাওয়া করলে, তারা মেয়েটিকে পথে ফেলে পালিয়ে যায়। এরপর পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে মেয়েটিকে পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। পুলিশসূত্রে খবর, তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। তারা ধর্ষনের চেষ্টা করে। যদিও পরিবারের সদস্য জানান, মেয়েটি বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিল। সেই সময় এলাকার চার যুবক বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে ঘরে ঢুকে মেয়েটির মুখে গামছা বেঁধে উঠিয়ে নিয়ে যায়। এরপর নির্যাতিতার মা বাড়িতে এসে তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। মেয়েকে দেখতে না পেয়ে গ্রামে খোঁজ শুরু করে। কিছু সময় পর দেখতে পায় মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে ফিরছে। এরপর বাড়িতে আসলে তাকে জিঞ্জাসা করতেই মেয়ে অচৈতন্য হয়ে পরে। সেখান থেকেই তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায় তার বাবা-মা। সেখানে চিকিৎসক জানায় সে নেশা জাতীয় কিছু খেয়ে আছে। খবর পেয়ে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ এসে মেয়েটিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘটনাটির তদন্তে নেমে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ।


বিজেপির দক্ষিন মালদার সাংগঠনিক সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ী বলেন,” রাজ্য জুরে ধর্ষনের ঘটনা ঘটে চলেছে। মালদা জেলাও তার ব্যাতিক্রম নয়। বৈষ্ণবনগরে যে ঘটনা ঘটেছে তা খুব দুঃখজনক ঘটনা। পুলিশ এই ঘটনায় যা করছে তাতে ধর্ষনকারীরা সাহস পেয়ে যাচ্ছে। আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা। তার রাজ্যে এই ঘটনা ঘটা দুর্ভাগ্য জনক। পুলিশ যদি ব্যবস্থা না নেয় বিজেপি আন্ধোলনে নামবে।”

জেলা তৃণমূলের মুখোপাত্র শুভময় বসু বলেন, “গোটা ভারতবর্ষে বিজেপি ঘৃননীতি নিয়ে এসেছে। আর এটা সামাজিক অবক্ষয়। সামাজিক অবক্ষয়ের কোনো আইন শৃঙ্খলা হতে পারেনা। বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ সঠিক কাজ করেছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে। এই ক্ষেত্রে অভিযুক্তদের শাস্তি হবেই।”

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close