একশো দিনের প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে একাধিক অভিযোগ তুলে পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করেছে গ্রামবাসী। তাদের অভিযোগ, সিভিক ভলান্টিয়ার ও মৃত ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে ঢোকানো হয়েছে টাকা! ঘটনাটি মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লকের তুলসিহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের সালালপুর এলাকার ঘটেছে।
সকাল থেকেই পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ির সামনে হাতে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভে সরব হয়েছেন সালালপুর সংসদের একাংশ। যদিও তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ আলম। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ট্রি পরিচালিত তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ আলম একশো দিন প্রকল্পের পঞ্চায়েত কর্মীদের সঙ্গে যোগসাজশে পুকুর খনন, কবরস্থান সমতলিকরণ, জঙ্গল সাফাই, গাডওয়াল নির্মাণ ও ঢালাই রাস্তা নির্মাণের নামে ভুয়ো বিল করে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছে।
সিভিক ভলেন্টিয়ার,নিখোঁজ ও মৃত ব্যক্তির নামে ভুয়ো মাস্টার রোল বানিয়ে টাকা তোলা হয়েছে।বিবাহ বা কর্মসূত্রে অন্যত্রে বসবাসকারী ব্যাক্তির নামে ১০০ দিনের কাজে ভুয়ো মাস্টার রোল দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছে। এমনকি প্রকৃত পিএমএওয়াই উপভোক্তাদের বাড়ি না দিয়ে টাকার বিনিময়ে অনত্র বিক্রি করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এই নিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রামে সালিশি সভাও বসানো হয়। দুই উপভোক্তার টাকা রিফান্ড দিলেও এখনো পাঁচ উপভোক্তা বঞ্চিত রয়েছে বলে দাবি। কোনোরকম কাজ না করেও নিকট-আত্মীয় বয়স্ক পিতা মাতা ও ঘনিষ্ঠদের একশো দিনের কাজে হাজিরা দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে স্বজন পোষনের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গ্রামবাসীরা আরো অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ পনেরো বছর আগে জেলা পরিষদ থেকে ১২ লক্ষ টাকা বরাদ্দে গ্রামবাসীদের ব্যবহারের উদ্দেশ্যে পঞ্চায়েত সদস্য আলমের বাড়ির সামনে সরকারি জমিতে পরিশ্রুত পানীয় জলের জন্য সাবমারসিবল পাম্প বসানো হয়েছিল। সেটি শুধুমাত্র নিজের ব্যবহারের জন্য প্রাচীর দিয়ে ঘিরে দিয়েছে বলে অভিযোগ। অপরদিকে পঞ্চায়েত থেকে ৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দে জনবহুল এলাকা বাদ দিয়ে নিজের বাড়ির সামনে বসিয়েছে হাই মাস্ট লাইট এবং নিজের ব্যক্তিগত সুবিধার্থে রাস্তা থেকে বাড়ি পর্যন্ত পঞ্চায়েত থেকে করা হয়েছে কংক্রিটের ঢালাই রাস্ত।
পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ আলম জানান,তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন। তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে বিরোধীরা বলে দাবি।
তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শকুন্তলা সিংহ জানান এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন। হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লকের বিডিও অনির্বাণ বসু অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের আশ্বাস দেন।
মালদা থেকে অভিষেক সাহার রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।