ন’মাসের এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে খুন। অভিযোগ, স্বামী -সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে এমন ঘটনার পর উত্তেজনা ছড়িয়েছে মালদা জেলার ইংরেজবাজার থানার মিল্কি খাসকোল এলাকায়।
সূত্রের খবর, মৃত ওই গৃহবধূর নাম ফাল্গুনী মন্ডল। বয়স কুড়ি বছর। বিগত ১১ মাস আগে মালদার মোথাবাড়ি থানার মেঘুটোলার বাসিন্দা মন্ডলের মেয়ে ফাল্গুনী মন্ডলের সঙ্গে সামাজিক মতে বিয়ে হয় ইংরেজবাজার থানার মিল্কি এলাকার যুবক রুপ মন্ডলের। রুপ মন্ডল পেশায় একজন দিনমজুর। মৃত গৃহবধূ বর্তমানে নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। জানা গেছে, বিয়ের পর থেকেই ওই গৃহবধূর ওপর মদ্যপ অবস্থায় তার স্বামী তাকে অত্যাচার করত। এই নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে মীমাংসাও চলে বেশ কয়েকবার। গত দু’দিন আগে ওই গৃহবধূ তার বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়িতে আসেন। বৃহস্পতিবার সকালে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে ফোনে খবর যায় যে, তাদের মেয়ে গুরুতর অসুস্থ। মেয়ের শ্বশুর বাড়ি গিয়ে পরিবারের লোকেরা দেখতে পান তার মেয়ে ঝুলন্ত দেহ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে পুলিশ। সেখান থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে খুনের। ঘটনা তদন্তে নেমে মৃত গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির এক সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। তবে অভিযুক্ত স্বামী ঘটনার পর থেকেই গা-ঢাকা দিয়েছে বলে অভিযোগ।
এবিষয়ে মৃত গৃহবধূর এক আত্মীয় রঞ্জন মন্ডল জানান, বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী মদ্যপ অবস্থায় শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো। এই নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে মীমাংসা হয়েছে। সেই অত্যাচারের জন্য ফাল্গুনী মন্ডল তার বাবার বাড়িতে বেশ কয়েক মাস ধরে ছিল। গত দু’দিন আগে তার স্বামী আবার নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে। তারা জানান, “আমরা খবর পাই তার মৃত্যু হয়েছে। আমাদের অনুমান তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাকে শ্বাসরোধ করে ঝুলিয়ে দেয়। আমরা চাই পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করুক। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে মৃতদেহ পাঠানো হয়েছে।
অভিষেক সাহা রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা