চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক যুবকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল মালদা জেলা পুলিশ সুপার অফিসের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী উত্তম ঘোষের বিরুদ্ধে।
সূত্রের খবর, অভিযোগকারী যুবককের নাম জাহাঙ্গীর আলি। তিনি মালদার পুখুরিয়া থানার লোখরা এলাকার বাসিন্দা। গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে গাড়ি সংক্রান্ত সমস্যার অভিযোগ নিয়ে জেলা পুলিশ সুপারের অফিসে এসেছিলেন জাহাঙ্গীর। সেখানেই পরিচয় হয় পুলিশ সুপার অফিসে কর্তব্যরত উত্তম ঘোষের সঙ্গে। তিনি জাহাঙ্গীরকে চাকরির প্রস্তাব দেন।। সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান ওই যুবক। সারে ন’লক্ষ টাকার বিনিময়ে কনস্টেবল পদে চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় ওই যুবককে। অগ্রিম হিসেবে নেওয়া হয় আড়াই লক্ষ টাকা। আগস্ট মাসের মধ্যে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল উত্তম ঘোষ। কিন্তু চাকরি না হওয়ায় টাকা ফেরত চায় জাহাঙ্গীর। নভেম্বর মাসে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও সেই টাকা ফেরত দেননি উত্তম ঘোষ বলে অভিযোগ। টাকা চাইতে গেলে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাকে। তাই এবারে পাওনা টাকা ফেরত পেতে এবং অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে জেলা পুলিশ সুপার এবং জেলা শাসকের দ্বারস্থ হলেন জাহাঙ্গীর। উল্লেখ্য, টাকা নেওয়ার বিষয়টি কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযুক্ত উত্তম ঘোষের স্ত্রী লক্ষ্মী ঘোষ। তিনি বলেন, জাহাঙ্গীর আমাদের বাড়িতে এসেছিল তারপরই জানতে পারি যে টাকা নিয়েছে। টাকা যখন নিয়েছেন তখন তা ফেরত দিতে হবে। যদিও জেলা পুলিশ সুপারের অফিসে এবং বাড়িতে গিয়ে দেখা মেলেনি অভিযুক্ত উত্তম ঘোষের।এবিষয়ে জেলার পুলিশ কর্তারা তার বিরুদ্ধে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন বলে জানা গেছে। পাশাপাশি এই ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর। যদিও বিজেপি-র এই অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস । জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, এটা দলের কোনও বিষয় নয়। কোনও সরকারি কর্মী এধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকলে প্রশাসন আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে আইনের শাসন আছে।
ফোর্টিন টাইমলাইন, মালদা।