এক ঝলক দেখলে মনে হবে রাস্তা যেনও চাষের জমি।রাস্তার বড় বড় গর্ত,আর জমে রয়েছে জল।সেই জলে আবার হাঁটু সমান গর্তে তৈরি হয়ে আছে কাদা।প্রায় দেড় কিমি সেই কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়েই চলাচল করে হাজার হাজার মানুষ।
সূত্রের খবর,মালদার রতুয়া ২ নম্বর ব্লকের মহারাজপুর পঞ্চায়েত এলাকার রাধানগর চিকনি এলাকার রাস্তার বেহাল দশা কয়েক দশকের। সোমবারের বৃষ্টির জেরে ওই মূল রাস্তাটির বেহাল দশা আরও বেশি আকারে ফুটে উঠেছে। ফলে স্কুল পড়ুয়া থেকে শুরু করে প্রসূতি মহিলা ও রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না বলে আভিযোগ বাসিন্দাদের।
প্রসঙ্গত,বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ,দীর্ঘ তিন বছর যাবৎ এলাকার পঞ্চায়েত প্রধানকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি।ভোট ব্যাঙ্কের জন্য শাসকদলের প্রধান আফসানা খাতুন এলাকার ক্ষুদ্র রাস্তা পাকা করলেও মূল রাস্তাটি পাকা করার কোনও উদ্যোগ নেননি বলে অভিযোগ।এলাকায় ছোট ছোট রাস্তা পাকা করা হয়েছে।মূল রাস্তা কেনও পাকা হয়নি।রাস্তা পাকা করার দাবিতে এদিন এলাকাবাসী একজোট হয়ে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন চিকনিতে। প্রায় এক ঘন্টা ধরে চলে বিক্ষোভ। রতুয়া-২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শ্যামলী দাসের আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেন এলাকাবাসী। সভাপতি জানান,রাস্তাটি পাকা করার জন্য ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসেছি।দ্রুত পাকা করা হবে।
ইতিমধ্যেই চিকনির বাসিন্দা মোহাম্মদ সামাউল অভিযোগ করে বলেন,গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় এলাকার তাবড় তাবড় নেতারা রাস্তাটি পাকা করার আশ্বাস দিয়েছে,কেটে গিয়েছে চার বছর।তবু ছিটেফোঁটাও কাজ হয়নি এই রাস্তায়।বর্ষা এলেই কাদা ভেঙে চলতে হয় হাজার হাজার মানুষকে।রাস্তা খারাপের জন্য একাধিক বার দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন এলাকার পড়ুয়ারা।এদিকে পঞ্চায়েত প্রধান ও স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য ভোট ব্যাঙ্কের জন্য বাড়ি বাড়ি রাস্তা নির্মাণ করছে।কিন্তু প্রায় পাঁচটি গ্রামের বাসিন্দাদের মূল রাস্তাটি নির্মাণের জন্য কারও হেলদোল নেই। রাস্তার কাজ শুরু না হলে আগামী পঞ্চায়েত ভোটে বয়কট করা হবে বলে হুঁশিয়ারী দিয়েছেন বাসিন্দারা। যদিও এবিষয়ে তৃণমূল পরিচালিত মহারাজপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান আফসানা খাতুনের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
ফোর্টিন টাইমলাইন, রতুয়া ,মালদা।