মেয়েকে মারধর করার প্রতিবাদ করায় মায়ের ডানকান কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল জামাই-এর বিরুদ্ধে। মাকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত দুই ছেলে-সহ মোট পাঁচজন। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার ইংরেজ বাজার থানার মিলকি খাসকোল এলাকায়। আহতরা মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশি সূত্রে খবর, আহতরা হলেন সাধেকা বিবি, বয়স ৪৭ বছর। ছেলে শাড়িরুল শেখ, বয়স ২৫ বছর। শেখ রাহুল, বয়স ২২ বছর। আশা বিবি, বয়স ২০ বছর ও জুলি বিবি, বয়স ৩০ বছর। অভিযুক্তরা হলেন শেখ রাজা, শেখ সারিউল-সহ বেশ কয়েকজন। পরিবার সূত্রে খবর, আসা বিবির সাথে বিগত সাত মাস আগে বিয়ে হয় রাজা শেখের। বিয়ের পর থেকেই অত্যাচার শুরু করে তার স্বামী বলে অভিযোগ। এরপর বিগত চার মাস পরে স্বামী ভিন রাজ্য থেকে ফিরে আসে। এই চার মাস ধরেই মেয়ে তার বাবার বাড়িতে ছিল বলে জানা যায়। স্বামী মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে ঢুকে আশা বিবিকে মারধর করে বলে অভিযোগ। সে বিবাদকে কেন্দ্র করে আজ ছেলের বাড়িতে মেয়ের বাড়ি সদস্যরা যায় মীমাংসা করতে। মীমাংসা করতে গেলে তখনই তাদের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় অভিযুক্ত রাজা শেখ-সহ তার দলবল। ঘটনায় শ্বাশুড়ি সাদেকা বিবির ওপর চড়াও হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারধর শুরু করে। জামাই রাজা শেখে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারধর শুরু করলে তার কান কেটে যায়। তাকে মারধর করতে দেখে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বাঁচাতে গেলে তাদের সকলকে বেধড়ক মারধর করা হয় ধারালো অস্ত্র দিয়েও কোপানো হয় বলে অভিযোগ। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে সকলকে নিয়ে যাওয়া হয় মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মিলকি ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মিলকি ফাঁড়ির পুলিশ।
ফোর্টিন টাইমলাইন, মালদা।