মালদার গাজোল ও মানিকচকে ছ’কোটি টাকার ভাঙনরোধের কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হল। শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে কাজের সূচনা করলেন রাজ্যের সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। মালদার গাজোল ও মানিকচকের তিনটি এলাকায় ১ হাজার ২৫০ মিটার ভাঙন রোধের কাজ শুরু করছে রাজ্য সেচদফতর। গাজোলের চাকনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডোবাখোকসান এলাকায় টাঙ্গন নদীর ডানপাড়ে ৫০০ মিটার ভাঙনরোধের কাজ হবে। গাজোলের বৈরগাছি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের দেওয়ানী এলাকায় মহানন্দা নদীর বামপাড়ে আরও ৫০০ মিটার ভাঙনরোধের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে মালদার মানিকচকের চৌকিমীরজাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েত কাঞ্চনতলা এলাকায় আরও আড়াইশো (২৫০) মিটার ভাঙ্গনরোধের কাজ এদিনই শুরু করা হয়েছে।
এদিন সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন জানিয়েছেন, মালদার রতুয়া, মানিকচক ও বৈষ্ণবনগরে ভাঙ্গন প্রতিরোধের বহু টাকা ব্যয় হলেও অনেক ক্ষেত্রেই কাজ টেকসই হচ্ছে না। এজন্য রাজ্যের সেচদফতর উচ্চপর্যায়ের প্রযুক্তিগত সমীক্ষা চালাবে। বিশেষজ্ঞ দল মালদার এই তিনটি ব্লকের ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে দেখবেন, কোথায় সঠিক কি পদ্ধতিতে কাজ হলে তা দীর্ঘমেয়াদী সুফল দেবে। মালদার পাশাপাশি মুর্শিদাবাদেও ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় সমীক্ষা চালাবে রাজ্য সেচ দফতরের এই বিশেষজ্ঞ দল। এদিন প্রকল্পের কাজের সূচনা করে অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই ভাঙনরোধে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তোলেন রাজ্যের সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন।
মালদার গাজোলে যে এলাকায় এদিন ভাঙনরোধের কাজের সূচনা হয় সেখানে ১৯৮৭ সাল থেকে দফায় দফায় ভাঙন সমস্যা চলছে। গ্রামের কয়েকশো পরিবার ভাঙ্গনের মুখে বারবার ভিটেমাটি হারিয়েছেন। ২০১৭ সালেও ভয়াবহ নদী ভাঙ্গনের সাক্ষী হয় গাজোলের চাকনগর পঞ্চায়েতের এইসব এলাকা। অবশেষে রাজ্য সরকার ভাঙনরোধের প্রকল্প হাতে নেওয়ায় খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা।
ফোর্টিন টাইমলাইন, মালদা।