অবশেষে স্বস্তি। শুক্রবার সূর্যাস্তের পরই আকাশ কালো করে নেমে এল কালবৈশাখী। প্রায় দু মাস ধরে বৃষ্টির দেখা নেই। গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। বৃষ্টির অভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে গ্রীষ্মকালীন ফল এবং শাক সবজির। এদিন দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ঝড়ের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতে ঝড়ের দাপটে চরম ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে জনজীবন।
শুক্রবার রাতের এই ঝড়ে রীতিমতো লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে মালদা জেলার বিভিন্ন এলাকা। মালদার বামনগোলা ব্লকের চাঁদপুর জগতলা এবং ভবানীপুর এলাকায় ঝড়ের তাণ্ডবে গৃহহীন হয়েছে বহু মানুষ। ভেঙে পড়েছে বহু গাছ, একাধিক বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে। বড় বড় গাছ পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে কোথাও কোথাও। ঝড়ের ফলে রাত থেকেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে এলাকা জুড়ে।
এছাড়াও, বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে পড়েছে দোকানপাট। এদিন ঝড়-বৃষ্টি বন্ধ হতেই স্থানীয় বাসিন্দারা নেমে পড়েন উদ্ধার কার্যে। এলাকার বহু বাড়িতে গাছের মোটা ডাল ভেঙে পড়ে যাওয়ায় বিপত্তি ঘটেছে৷ এদিকে রাস্তার ধারের বিদ্যুতের খুঁটিও উপড়েছে এদিনের ঝোড়ো হাওয়া। এদিকে, এদিনের ঝড়ে জেলার প্রতিটি ব্লকে আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে মালদায়। এর আগে শিলা বৃষ্টির ফলে বহু আম নষ্ট হয়েছে৷ পাশাপাশি, এদিনের ঝড়ে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন মালদা জেলার কৃষকরা।
এদিন ঝড়বৃষ্টি থামতেই রাস্তায় পড়ে থাকা গাছ কাটার কাজ শুরু করা হয়েছে। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষদের জন্য ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছে রাজ্য সরকার। গ্রামবাসীরা ক্ষয়ক্ষতির জন্য ইতিমধ্যেই অনুদানের দাবি জানিয়েছে সরকারকে।