Malda : সরলতার সুযোগ নিয়ে অভিনব প্রতারণা হাতুড়ে চিকিৎসকের

আরও পড়ুন

প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষদের সরলতার সুযোগ নিয়ে অভিনব প্রতারণা কোয়াক ডাক্তারের। নির্দিষ্ট ওষুধের নির্ধারিত মূল্যের উপর মার্কার পেন দিয়ে বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে মূল্য। ৯২ টাকার ওষুধের মূল্য নেওয়া হচ্ছে ১৯২ টাকা, ৮৫ টাকার চোখের ড্রপ নেওয়া হচ্ছে ১৮৫ টাকা। প্রতারণার পর্দা ফাঁস হতেই মুখে কুলুপ আটলেন আঁটলেন ওই হাতুড়ে চিকিৎসক। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন এক রোগী। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পিপলার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

গ্রামবাংলায় এখনও বিভিন্ন গ্রামে রোগী দেখেন কোয়াক ডাক্তাররা। যাদের অনেকেরই থাকে না প্রয়োজনীয় বা নির্দিষ্ট যোগ্যতা। তেমনি হরিশচন্দ্রপুর থানার পিপলা গ্রামে কোয়াক ডাক্তারের পরিচয়ে রোগী দেখেন বাবলু চক্রবর্তী। এই মুহূর্তে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় কনজাংটিভাইটিস সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। চোখের সমস্যা নিয়েই বিভিন্ন গ্রামের মানুষ হাজির হচ্ছিলেন বাবলু ডাক্তারের কাছে। সেই সুযোগেই এই চিকিৎসক প্রতারণার নয়া ফাঁদ পেতেছিলেন। যেসব রোগী তার কাছে আসেন তাদের প্রয়োজনীয় ওষুধ তিনি নিজেই দেন। তার কাছেই কিনে নিতে হয় ওষুধ। এক্ষেত্রে ওষুধের নির্ধারিত মূল্য পাল্টে দিচ্ছিলেন তিনি বলে অভিযোগ। মার্কার পেন দিয়ে বাড়িয়ে দিচ্ছিলেন মূল্য। ২০০ টাকা ওষুধের বিল হলে বিল নিচ্ছিলেন ৬০০ টাকা। কিন্তু বাংরুয়া গ্রামের রতন সিং নামে এক রোগীর সন্দেহ হয়। তিনি বাইরে এসে ওষুধের দাম মিলিয়ে দেখেন। বুঝতে পারেন বড়সড় প্রতারণা করছেন ওই ওই হাতুড়ে চিকিৎসক বাবলু। অন্যান্য রোগীদের সঙ্গে কথা বললে তারাও একই কথা বলেন। তারপরে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় ওই ডাক্তারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন রতনবাবু। তবে এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠেছে- স্বাস্থ্য দফতরের ভূমিকা নিয়েও। আদৌ ওই হাতুড়ে চিকিৎসকের কাছে রোগী দেখার নির্দিষ্ট অনুমতি রয়েছে কি না? কিভাবে ওষুধ দিচ্ছেন ওই ডাক্তার? যদি অনুমতি না থাকে তবে এতদিন কেনও ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। স্বাস্থ্য দপ্তরের এমন গাফিলতিতে ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষ।

ফোর্টিন টাইমলাইন, হরিশচন্দ্রপুর, মালদা।

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close