কালিয়াগঞ্জ, কালিয়াচক কাণ্ডের পর এবার মালদার গাজোলে ১০ দিন যাবৎ নিখোঁজ আদিবাসী উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। বাড়ি থেকে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। বারবার গাজোল থানায় অভিযোগ জানালেও কোনও লাভ হচ্ছে না। অসহায় হয়ে পড়েছে ওই পরিবার। তাদের আশঙ্কা কালিয়াগঞ্জ বা কালিয়াচকে দুই নাবালিকার সঙ্গে যে ঘটনাটি ঘটেছে সেই পরিস্থিতির শিকার যেন হতে না হয় ওই ছাত্রীকে। গোটা বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
সূত্রের খবর, এপ্রিল মাসের ২০ তারিখ মেয়েকে বাড়িতে রেখে হাটে গিয়েছিল তার পরিবারের সদস্যরা। বাড়িতে ফিরে এসে তারা দেখেন, তাদের মেয়ে বাড়িতে নেই। স্থানীয় গ্রামে ও আত্মীয়দের বাড়িতে মেয়ের খোঁজ করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এরপর গাজল থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। এই ঘটনার ১১ দিন পার হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত মেয়ের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। বারবার গাজোল থানায় গেলেও পুলিশ বিভিন্ন অছিলায় পরিবারের সদস্যদের তাড়িয়ে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। স্বভাবতই অসহায় হয়ে পড়েছে ওই পরিবার। এমতাবস্থায় গাজোল থানায় ধর্নায় বসতে গেলে তাদেরকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপি মেম্বার সুনীল মার্ডি জানান, তাদের অভিযোগ হল মেয়েটি এতদিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে। আদিবাসী মেয়ে তাকে সুস্থভাবে ফিরে পেতে চাই। গাজোল থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে অথচ পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। গাজোল থানার আইসি দু’দিন সময় দিয়েছে তার মধ্যে ফিরে না পেলে তারা কালিয়াচক বা কালিয়াগঞ্জ-এর মত পুলিশের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে বাধ্য হবেন।
ফোর্টিন টাইমলাইম, মালদা।