দুই মাসের মধ্যে নবনির্মিত রাস্তার বেহাল দশা। নদর্মা উপচে বয়ে যাচ্ছে জল। স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূল নেতা। সরকারের রাস্তা বাঁচানোর জন্য জলনিকাশী পরিষ্কারের কাজে নেমে পড়েন তৃণমূল নেতা।
উল্লেখ্য, দুই মাসের মধ্যে নবনির্মিত রাস্তার বেহাল দশা। খাল খন্দরে ভরে গেছে রাস্তা। রাস্তায় থাকা জলের কল ভেঙে বয়ে যাচ্ছে জল। বেহাল নিকাশি ব্যবস্থা। উপচে পড়ছে নর্দমার নোংরা জল। চরম ভোগান্তি এলাকাবাসীর। প্রশাসনের বিরুদ্ধে বাড়ছে ক্ষোভ। পাশাপাশি স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তৃণমূল নেতা সঞ্জীব গুপ্তাকে। স্থানীয়দের ক্ষোভ মেটাতে পাশাপাশি নতুন রাস্তা বাঁচানোর জন্য নিকাশি নালা পরিষ্কার করার কাজে নেমে পড়েন তৃণমূল নেতা সঞ্জীব গুপ্তা। যদিও বিজেপি নেতৃত্বের দাবি হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকা থেকে তৃণমূল ভোট পায় না। তাই ঠিক ভাবে কাজ করে না। কাটমানি খেয়েছে ফলে রাস্তার বেহাল দশা হয়ে গেছে। যদিও তৃণমূল নেতারা মানুষের অসচেতনতাকে দায়ী করেছেন। এলাকাবাসীর দাবি, প্রশাসন ঠিক ভাবে কাজ করেনি। সব মিলিয়ে রাস্তার বেহাল দশা নিয়েও তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।
মালদার হরিশচন্দ্রপুর এলাকার হরিশ্চন্দ্রপুর সদরের ডেইলি মার্কেট এলাকার ঘটনা। মাত্র দুই মাস আগে গোপাল কেডিয়া মোড় থেকে গোলামোড় পর্যন্ত তিন কিলোমিটার রাস্তা নতুন করে নির্মাণ করা হয়। যে রাস্তা তৈরিতে বরাদ্দ হয়েছিল প্রায় ৭৬ লক্ষ টাকা। শাসকদলের নেতারা ঘটা করে সেই রাস্তার উদ্বোধন করেন। কিন্তু মাত্র দু’মাস যেতে না যেতেই বেহাল দশা রাস্তার। বহু জায়গায় ভেঙে গিয়েছে রাস্তা ফলে তৈরি হয়েছে ছোট ছোট গর্ত। নর্দমা ভেঙে গিয়ে উপচে পড়ছে নোংরা জল। এমনকি ওই রাস্তার মধ্যে থাকা জলের কল ভেঙে গেছে। ফলে সারাক্ষণ রাস্তা দিয়ে ভেসে যাচ্ছে জল। রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। এদিকে এই রাস্তা এলাকার ব্যস্ততম রাস্তা। রাস্তার অবস্থা এতটাই বেহাল যে অসুস্থ লোকজনকে নিয়ে যেতে গেলে বিপদে পড়তে হতে পারে। ফলে ক্ষোভ জমছে এলাকাবাসীর মনে। আর সেই ক্ষোভ বুঝতে পেরেই আসরে নামে শাসকদলের নেতা তথা অঞ্চল চেয়ারম্যান সঞ্জীব গুপ্তা। রাস্তা দিয়ে যাতে জল না যায় সেই জন্য নর্দমা এবং জলের কল ঠিক করার কাজ চলছে আজ।
স্থানীয় বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ দাস বলেন, জলের কল ভেঙে গেছে। নদর্মা থেকেও জল উপচে পড়ছে। ফলে রাস্তার বেহাল দশা। রাস্তা ভেঙে যাচ্ছে। এদিকে জলের কল ভেঙে যাওয়াই পানীয় জল নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। প্রশাসনের উচিত দ্রুত এই ব্যাপারে নজর দেওয়া।
বিজেপি নেতা রুপেশ আগরওয়ালা শাসক দলকে খোঁচা দিয়ে বলেন, এরা সব কিছুতে কাটমানি খায়। এত কাটমানি খেয়ে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করেছে ফলে দুই মাসের মধ্যে রাস্তার অবস্থা বেহাল হয়ে গেছে। মানুষ সব দেখছে। এদেরকে ভোট দেওয়ার মত ভুল মানুষ করবে না। এখন বিপদ দেখে তৃণমূল নেতারা নর্দমা পরিষ্কার করার নাটক করছে। আসন্ন ভোট গুলিতে এলাকাবাসী জবাব দেবে।
হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান সঞ্জীব গুপ্তা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তা খারাপ থাকার পর আমরা সংস্কার করেছিলাম। ২ মাস আগে রাস্তার কাজ হয়েছিল। কিন্তু মানুষ নর্দমা পরিষ্কার না রাখায় জল বয়ে যাচ্ছে রাস্তা দিয়ে। ফলে পিচের রাস্তা ভেঙে গেছে। মানুষকে সচেতন হতে হবে। আমরা নর্দমা পরিষ্কার এবং জলের কল ঠিক করার জন্য আজ এসেছি। বিজেপির কাজ শুধু কুৎসা করা। কাজের বেলায় কাজ করেন।
Avishek Saha, Reporter, Uttar Malda