রাস্তা নির্মাণে কাজের মান নিয়ে অভিযোগ উঠলেই সেই কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে। ঠিকাদারের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে কড়া পদক্ষেপ। শিলান্যাস অনুষ্ঠান থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ঠিকাদারদের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি ছুড়লেন চাঁচলের তৃণমুল কংগ্রেসের বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষ। বিধায়কের এমন হুঁশিয়ারি কাজের আগেই কেনও ? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তৃণমূল মানে কাটমানি বুঝিয়ে দিলেন বিধায়ক এমনি কটাক্ষ বিজেপির।
প্রসঙ্গত,গতকাল বিকেলে মালদার চাঁচল বিধানসভার ১২ টি পঞ্চায়েত এলাকায় উওরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের প্রায় ৩ কোটি ৬২ লক্ষ্ টাকা বরাদ্দে ১৩ টি প্রকল্পের কাজের শিলান্যাস করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। যারমধ্যে বেশিরভাগই রয়েছে পাকা ঢালাই রাস্তা নির্মাণের কাজ। রয়েছে ড্রেন নির্মাণ ও গার্ডওয়াল নির্মাণের কাজও। এই শিলান্যাস অনুষ্ঠান থেকে একশ্রেণীর অসাধু ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তৃণমূল বিধায়ক। চাঁচল এলাকায় দেখা গিয়েছে এক শ্রেণীর ঠিকাদার সংস্থা রাস্তার কাজ করতে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করছে। একাধিক এলাকায় কাজের মান নিয়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ পর্যন্ত করতে দেখা গিয়েছে বাসিন্দাদের। এই বিপুল সংখ্যক অর্থের রাস্তার কাজের মান তাহলে কি নিম্নমানের হতে পারে? সেই আঁচ কি আগেই বুঝতে পেরেছিলেন বিধায়ক? তার জন্যই কী হুশিয়ারি? উঠেছে প্রশ্ন।
বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষ বলেন, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদ থেকে ৩ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মানুষের উন্নয়নের স্বার্থেই প্রকল্পের কাজ গুলি করা হবে। লাল বালি দিয়ে কাজ করতে হবে। কিন্তু এই কাজে যদি কোনরকম দুর্নীতি বা নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করা হয় তাহলে সেই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুধু ঠিকাদার নয় দলের কোনও কর্মী বা নেতা যদি এই দুর্নীতিতে মদত দেয় তাহলে তাকে ছেড়ে কথা বলা হবে না। পাশাপাশি আমি নিজে প্রতিটি এলাকার কাজ পরিদর্শনে যাব কোনরকম দুর্নীতি বরদাস্ত করবো না।
বিধায়কের এমন হুশিয়ারি কাজের আগেই কেনও ? তবে কি এতদিন রাজ্য সরকারের যাবতীয় কাজে কি দুর্নীতি রয়েছে? সেই দুর্নীতিতে কি জড়িয়ে রয়েছে রাজ্যের শাসক দলের লোকেরা? চায়ের চুমুকে উঠেছে এমনি প্রশ্ন।
এ বিষয়ে চাঁচলের বিজেপি নেতা প্রসেনজিৎ শর্মা অভিযোগ করেন, ”ভূতের মুখে রাম নাম। দলের কর্মীরাই তো ঠিকাদার হয়ে দুর্নীতি করছে। এটা মানুষের কাছে সিম্প্যাথি পাওয়ার জন্য তিনি এই বক্তব্য দিয়েছেন।”
Avishek Saha, Reporter, Uttar Malda