Baharmpur : তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, এলাকা দখল নিয়ে উত্তেজনা

আরও পড়ুন

তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের বিবাদে উত্তপ্ত এলাকা। এলাকা দখল করার জন্য সোমবার রাত থেকেই চলে বোমাবাজি। ভাঙচুরও চলে তৃণমূলের এক ব্লক সভাপতির বাড়িতে। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের খাঁড়েরা গ্রামে।

সূত্রের খবর, তৃণমূল কংগ্রেসের ভরতপুরের ২ নম্বর ব্লকের কিষান ক্ষেত মজুর সমিতির ব্লক সভাপতি জুল হোসেনের বাড়ি ভাঙচুর হয়। ভাঙা হয় একের পর এক মোটরবাইক। অভিযোগ, এই ঘটনার সঙ্গে নাম জড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের ভরতপুরের ওই ব্লক সভাপতির ঘনিষ্ঠ মোস্তাক আলির বিরুদ্ধে। এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে সোমবার সন্ধ্যা থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের সালার থানার খাঁড়েরা গ্রাম। এই গ্রামেই বাড়ি তৃণমূল কংগ্রেসের ভরতপুরের ২ নম্বর ব্লকের কিষাণ ক্ষেত মজুর সমিতির ব্লক সভাপতি জুল হোসেনের। তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম তৃণমূল পরিচালিত ভরতপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ। জুল হোসেনের সঙ্গে শালু গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের মোস্তাক আলির বিবাদ দীর্ঘদিনের। তার জেরেই জেরেই জুল হোসেনের বাড়িতে মোস্তাক আলি ও তার অনুগামীরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ।

এবিষয়ে তৃণমূল নেতা জুল হোসেন বলেন, ‘সোমবার বিকেলে আমি বাড়ি ফেরার পর হঠাৎই কিছু দুষ্কৃতি বাড়িতে বোমা এবং বন্ধুকে নিয়ে হামলা চালায়। শালু গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মোস্তাক আলির মদতে কিছু দুষ্কৃতী আমার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। বেশ কয়েকটি বাইক ভাঙচুর করেছে দুষ্কৃতীরা। এলাকায় পঞ্চাশটির বেশি বোমা মেরেছে মোস্তাকের দলবল।’

ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘আমাদের দলের এক নেতাকে চমকানোর জন্য কিছু দুষ্কৃতী জুল হোসেনের বাড়িতে ধানি পটকা ছুঁড়েছিল। গোটা বিষয়টি নিয়ে আমরা খোঁজ খবর রাখছি। আমাদের দলের মধ্যে কোনও বিরোধ নেই।’ তৃণমূল নেতার বাড়িতে হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সালার থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই তিন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করেছে।

ফোর্টিন টাইমলাইন, মুশিদাবাদ, বহরমপুর।

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close