Birbhum : তৃণমূল নেতার রহস্যমৃত্যু

কীসের কারনে মৃত্যু হ'ল হাসানের? তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এটা দুর্ঘটনা নাকি সত্যিই খুন খতিয়ে দেখছে পুলিশ

আরও পড়ুন

বীরভূমের মল্লারপুরে তৃণমূল নেতার রহস্যমৃত্যু। তার মৃত্যুর ফলে পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই ঘটনার সত্যতা বিচারে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী।

মৃত তৃণমূল নেতা কাজি নুরুল হাসান

সূত্রের খবর, মৃত তৃণমূল নেতার নাম কাজি নুরুল হাসান। তৃণমূল পরিচালিত ময়ুরেশ্বর পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন তিনি। পরিবারের সূত্রে খবর, গতকাল বুধবার বিকেলে ময়ুরেশ্বর থেকে বাইকে করে মল্লারপুরে যান নুরুল, কিন্তু রাত পর্যন্ত আর বাড়ি ফেরেননি। বাড়ি ফিরতে দেরি হলে তার স্ত্রী যখন মোবাইলে ফোন করেন, তখন পুলিশ ফোন ধরায় আটকে ওঠেন স্ত্রী। জানা গেছে, রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য।

তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য কাজী নুরুল হাসানের পরিবারের লোকেরা যখন তাকে দেখতে হাসপাতালে পৌঁছায় তখন শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকলেও তিনি বেঁচে ছিলেন। এরপর রাতেই বাড়ির লোকের কাছে তার মৃত্যুর খবর আসে। পুলিস সূত্রে খবর, মল্লারপুর থানার খড়াসিনপুর গ্রামের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন নুরুল। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।

সূত্রের খবর, যদি দুর্ঘটনা ঘটত সেক্ষেত্রে শরীরে একাধিক চিহ্ন থাকত। কিন্তু নরুলের শুধুমাত্র মাথার পিছনে আঘাতে চিহ্ন ছিল। কান-মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। এমনকী, চোখের চশমাও অক্ষত ছিল বলে জানা যায়। পরিবার সূত্রের অভিযোগ, ময়ূরেশ্বরের পঞ্চায়েতের অন্য সদস্য ও তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদ চলছিল কাজি নুরুল ইসলামের। তাঁকে বেশ কয়েকবার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। তবে কি এটি দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পামাফিক খুন? কারাই বা এই খুন করল? কেনই বা করল? উঠে আসছে নানা প্রশ্ন। দুর্ঘটনা হলেও কি করে ঘটল তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close