দিনকয়েক আগেই মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। ৪৪১ নম্বর পেয়ে পরীক্ষায় পাশ করেন কেয়া বিশ্বাস। বয়স ১৬ বছর। বুধবার স্কুলে কলাবিভাগে ভর্তিও হয়ে আসেন তিনি। বাড়ি এসে বাবার কাছে একটি স্মার্টফোনের আবদার করেন কেয়া। ১০ দিন পর ফোন কিনে দেবেন বলে জানিয়েও দেন বাবা। ১০ দিন ! শুনে যেনও অখুশি হন তিনি। এরপরই এমন এক মর্মান্তিক পরিণতি।
সূত্রের খবর, কেয়া নদিয়ার ধনতলা থানার বহিরগাছির বিশ্বনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা। বহিরগাছি হাই স্কুলের ছাত্রী ছিলেন তিনি। তার বাবার নাম রামকৃষ্ণ বিশ্বাস। পেশায় তিনি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক। এই কথাই হয়তো ভালো লাগেনি কেয়ার!
বুধবার কেয়ার বান্ধবীরা বিকেলে খেলতে যাওয়ার জন্য তাকে ডাকতে আসেন। তখন তারা দেখতে পান কেয়ার ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। এরপর কেয়ার দিদি ঘরের দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। তড়িঘড়ি তাকে স্থানীয় সবদলপুর প্রাথমিক স্বাস্থকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই কর্মরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এমন খবর শোনামাত্রই শোকের ছায়া নেমে আসে কেয়ার পরিবার এবং এলাকাবাসীর মধ্যে।