একদিকে তাপপ্রবাহের ফলে হাঁসফাঁস করছে দক্ষিণবঙ্গ। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি সহ ব্যাপক ঝড়, সঙ্গে লোডশেডিং হয়ে চলেছে কয়েকদিন বাদে বাদেই। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে সকাল থেকে লু বইতে শুরু করছে, তাপমাত্রা প্রায় ৪০-৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে প্রায় দিনই। তার ঠিক পুরোপুরি উলটো ছবি দেখা যাচ্ছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। মাঝে কিছুদিন অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকলেও বেশিরভাগ দিনই উত্তরবঙ্গের কিছু কিছু জেলায় রাতের দিকে ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে, তার ফলে ক্ষয়ক্ষতিও হচ্ছে প্রচুর।
সূত্রের খবর, গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার রাতে প্রায় ১৫ মিনিট ধরে ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি হয়েছে উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সের বেশ কিছু এলাকা জুড়ে। ঝড়ের পাশাপাশি শিলাবৃষ্টিও হয়েছে। এর জেরে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কিছু ঘরবাড়ি এবং ফসল। উল্লেখ্য, গতকাল আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে উত্তরবঙ্গের ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস জানানোই হয়েছিল। সেই পূর্বাভাস অনুযায়ীই ডুয়ার্সের মেটেলি ব্লকের বিধাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষুদিরাম পল্লী এবং রমজান পল্লীতে ঝড় এবং শিলাবৃষ্টির জেরে বহু ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়। ওই এলাকায় বহু বাড়ির টিনের ছাদ উড়ে যায়। পাশাপাশি ভেঙে পড়ে টিনের বেড়াগুলিও।
এদিকে, এদিন কয়েক মিনিটের এই ঝড়বৃষ্টির জেরে উত্তরবঙ্গের ধুপঝোরা এলাকায় ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে কৃষি ফসলের। সঙ্গে বিদ্যুৎ বিপর্যয় তো আছেই। সমগ্র এলাকা জুড়ে লোডশেডিংয়ের ফলে অন্ধকার হয়ে যায়। ওই সময়টায় অনেকেই বাজার হাট থেকে বাড়ি ফিরছিল, লোডশেডিং থাকায় তারা অসুবিধায় পড়ে। এদিন সন্ধ্যা প্রায় সাড়ে ৮ টা নাগাদ ঝড়বৃষ্টি আরম্ভ হয়।
বাজার ফেরত পথে ঝড়বৃষ্টি আরম্ভ হওয়ায় ক্ষুদিরাম পল্লী এলাকায় এক নাবালক ঝড়ের মুখে পড়ে। কোনো মতে প্রাণে বেঁচে যায় সে। ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গতকাল সন্ধ্যের এই ঝড় এবং শিলাবৃষ্টির জেরে এলাকার প্রায় ৪০টি মতো বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারা এই দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতির ফলে তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানানোর পাশাপাশি আবেদন জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকেও। ওই এলাকার ব্লক প্রশাসন কর্তৃক খবর, এখনও পর্যন্ত সঠিক ক্ষয়ক্ষতি কত হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। খুব দ্রুত খোঁজ খবর নিয়ে সরকারি নিয়মে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করা হবে।