বাবা এবং বড় দাদার ষড়যন্ত্রে খুন হ’ল মেজ ভাই। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে সোনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভক্তিয়াডাঙ্গী এলাকায়।
সূত্রের খবর, গত ১৫-২০ দিন আগে থেকে সমীর বালা নামে এক যুবক নিখোঁজ হয়ে যায় তাকে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। কিন্তু গত পাঁচ দিন আগে ওই এলাকায় ওই পরিবারের বাড়ির পাশ থেকে দুর্গন্ধ নির্গত হয়। এমন পরিস্থিতি দেখে ঘটনার কথা জানানো হয় চোপড়া থানার পুলিশকে পুলিশ ঘটনার কথা জানার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে।
প্রসঙ্গত, যে জায়গা থেকে দুর্গন্ধ বেরোনোর শুরু করে তারপর সেখানে খোঁজাখুঁজির পর দেখা যায় প্রচুর পোল্ট্রি মুরগি সেই স্থানে পোঁতা রয়েছে।পরিবার সূত্রে জানা গেছে , কোনও এক অজ্ঞাত কারনে ওই পরিবারের পোল্ট্রি ফার্মের ৬-৭০০ মুরগি মারা যায় তাই তারা সেখানে মুরগিগুলিকে মাটি চাপা দিয়ে রাখে। এরপরেও চলে পুলিশের তদন্ত প্রতিবেশীদের সূত্রে খবর সংগ্রহ করে পুলিশ বাবা হরষিত বালা এবং বড় ছেলে খোকন বালাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চোপড়া থানায় নিয়ে আসে সেখানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য তারা পুলিশের কাছে স্বীকার করে পরিবারের মেজ ছেলে সমীর বালা মদ্যপান করে প্রায়শই জমিজমার জন্য বাবাকে বিরক্ত করত আর এই বিরক্ত থেকে মুক্তি পেতে বাবা এবং তার বড় ছেলে ষড়যন্ত্র করে মেজো ছেলেকে হত্যা করে বাড়ির কিছুটা দূরে মাটিতে পুঁতে দেয় সোমবার দুপুরে প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই যুবকের মৃতদেহ মাটির নীচ থেকে উদ্ধার করে। পারিবারিক এবং প্রতিবেশী সূত্রে জানা যায় ওই যুবক অববিবাহিত ছিল এবং তাকে তার পরিবারের লোকজনেরা না বিয়ে দিচ্ছিল না তাকে সম্পত্তির কোনও অংশ দিচ্ছিল তাই মাঝে মধ্যেই মদ্যপান করে বাড়িতে তার সম্পত্তির হিসাব দাবি করে। আর এই ঘটনার জেরেই তার প্রতি বিরক্ত হয়ে বাবা এবং তার বড় ছেলে এই ঘটনা ঘটাতে বাধ্য হয় বলে স্বীকার করে পুলিশ প্রশাসনের কাছে।
ইতিমধ্যেই, পুলিশ মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছেন বলে জানা যায় আর এমন ঘটনা জানাজানি হতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। পাশাপাশি এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই ওই গ্রামের পাশাপাশি বিভিন্ন গ্রামের মানুষজন ভিড় জমাতে শুরু করে ঘটনাস্থলে।