চড় চড় করে চড়ছে তাপমাত্রার পারদ ৷ যার দরুণ শুধু তাপমাত্রা বৃদ্ধিই নয়, ফের তাপপ্রবাহের সতর্কতা দিয়ে রেখেছে ভারত আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগ৷ অস্বস্তিকর তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে ৫ জুন থেকে আগামী ১০ জুন পর্যন্ত বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি থাকবে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর হাত ধরে রাজ্যে বর্ষার আসন্ন হলেও নির্দিষ্ট দিনক্ষণ এখনও জানা যায়নি। তার আগে আরও একবার রাজ্যে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গের ৮ টি জেলার মধ্যে মালদা, উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ৫ থেকে ১০ জুন ২০২৩ মূলত শুষ্ক গরম আবহাওয়া বইবে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বর্তমানে স্বাভাবিকের থেকে ৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি আছে।এছাড়াও উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে আবহাওয়ার প্রভাব থাকবে। তাপমাত্রা বাড়বে দার্জিলিং কালিম্পংয়েও। শুক্র ও শনিবার পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ পশ্চিমের জেলা ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা। তবে বিকেলের পর আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে উপকূলের জেলায়।
প্রসঙ্গত ,জুন মাসের ৮-১০ তারিখের মধ্যে আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরে জোড়া ঘূর্ণিঝড় তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়াবিদরা প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে এবং আন্দামান সাগরের উপর তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত শক্তিবৃদ্ধি করে কয়েকদিনের মধ্যে দু’টি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শক্তিবৃদ্ধি করে এই দুই ঘূর্ণিঝড়ের একটি বাংলাদেশ-মায়ানমার উপকূলের দিকে অগ্রসর হবে। আর অন্যটি কেরালার কাছাকাছি তৈরি হয়ে মহারাষ্ট্র এবং গুজরাট হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। যদিও দিল্লির মৌসম ভবন এখনও দুই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে কোনও সতর্কতা জারি করেনি। তবে এই ঘূর্ণাবর্ত কোনওভাবে বর্ষার আগমণ ত্বরান্বিত করবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ইতিমধ্যেই উত্তর বঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে গ্রামীণ কৃষি মৌসম সেবা কেন্দ্র পুন্ডিবাড়ি কোচবিহার এবং ভারত আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগের পক্ষ থেকে যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। অনুরূপ সতর্কতা বার্তা আলিপুর আবহাওয়া দফতর কিছু নির্দেশ জারি করেছে –
১. রোদে বেশিক্ষণ না থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
২. হালকা, সুতির হালকা রঙের জামা কাপড় পরার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
৩. কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে রাখুন, ছাতা, টুপি ব্যবহার করুন।
৪. ঘন ঘন জল খেতে থাকুন।
৫. বেলা ১১ টা থেকে ৪ টে পর্যন্ত রোদ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হছে।
৬. ফসলকে তাপপ্রভাহ থেকে বাঁচাতে হালকা ও ঘন ঘন সেচ প্রয়োগ করুন যেন মাটির আদ্রতা বজায় থাকে।
৭. কঠোর পরিশ্রম যুক্ত কাজ গুলি দিনের অপেক্ষাকৃত শীতল সময়ের জন্য (সকাল ও বিকেল) বরাদ্দ রাখুন।
৮. পশুদের ছায়াতে রাখুন, পর্যাপ্ত পরিমানে জল দিন। দুপুর বেলা পশুচারণ করবেন না।
তবে এই বিষয়টি নিয়ে গণসচেতনতা বাড়বে মানুষের জীবন রক্ষা পাবে।
ফোর্টিন ওয়েব ডেস্ক, রায়গঞ্জ।