Burdwan : বাড়ি থেকে উদ্ধার তিনজনের মৃতদেহ

আরও পড়ুন

করোনায় আক্রান্ত হয়ে স্বামী ও বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে দুই মেয়েকে নিয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন বৃদ্ধা। বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে তিনজনেরই মৃতদেহ উদ্ধার হল। বর্ধমানের পীরপুকুর এলাকার ঘটনা। মৃতরা হলেন মৃণালিনী চৌধুরী (৬০), বন্দিতা চৌধুরী (৪০) এবং সংঘমিতা চৌধুরী (৩২)।

সূত্রের খবর, পীরপুকুর এলাকার বাড়িতেই দুই মেয়েকে নিয়ে থাকতেন বৃদ্ধা। একই বাড়ির দোতলায় থাকেন মৃণালিনী দেবীর মা প্রতিমারাণী মণ্ডল। বড় মেয়ে বন্দিতা চৌধুরী বাড়িতে থাকতেন। ছোট মেয়ে সংঘমিতা চৌধুরী একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করতেন। সপ্তাহ খানেক আগে সেই কাজও ছেড়ে দেন সংঘমিতা। অন্যান্যদিনের মতো বৃহস্পতিবার মৃণালিনীদেবীর বাড়িতে আসেন আয়া রুপালী হাজরা। দরজা বন্ধ থাকায় রুপালীদেবী দীর্ঘক্ষণ তাঁদের ডাকাডাকি করেন। কিন্তু ঘরের ভেতর থেকে কেউ দরজা না খোলায় এবং বৃদ্ধা ও তাঁর দুই মেয়ের কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীদের খবর দেন তিনি। খবর দেওয়া হয় তাঁদের আত্মীয়দের। প্রতিবেশী ও আত্মীয়রা দরজা খুলতেই ডাইনিং রুমের মেঝেতে মা ও দুই মেয়ের মৃতদেহ দেখতে পান। একটি বিষের বোতলও পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। মৃণালিনীদেবীর মামা বিশ্বনাথ মল্লিক জানান, কোভিডের সময় মৃণালিনীদেবীর স্বামী বিমল চৌধুরী ও তাঁর বাবা ভোলানাথ মণ্ডল মারা যান। এরপর থেকে মৃণালিনীদেবী ও তার দুই মেয়ে মনঃকষ্টে ছিলেন। পরিজনদের অকাল প্রয়াণের পর থেকে একাকিত্বে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন।

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন তিনজন। খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনটি মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহ রায় জানিয়েছেন, মৃতদের শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। ঘটনার তদন্ত চলছে।

ফোর্টিন টাইমলাইন, পূর্ব বর্ধমান।

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close