শনিবার বিকেলে জন্ম হওয়া সদ্যজাত শিশুকে পরের দিনই বিক্রির অভিযোগ উঠল মায়ের বিরুদ্ধে। এমন ঘটনা শোনার পর রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাসপাতাল চত্বরে। রবিবার রাতে সদ্যজাত ওই শিশুর নথি তৈরি করতে যাওয়ার সময় সন্দেহ হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। এরপরই সম্পূর্ণ ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে।যা শুনে রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ হাসপাতাল কতৃপক্ষের।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, গত শনিবার ওই প্রসূতি ভর্তি হন কালনা মহকুমা ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। শনিবার বিকেলে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন ওই মহিলা। পরদিন, রবিবার ওই সদ্যজাতের নথি তৈরি করতে যান অন্য এক মহিলা।সদ্যজাত শিশুটির বাবার নাম জানতে চাওয়া হলে তিনি যে নাম বলেন তার সঙ্গে জন্ম দেওয়া মহিলার স্বামীর নাম মেলে না। সন্দেহের সূত্রপাত সেখান থেকেই। হাসপাতাল কতৃপক্ষ পুলিশকে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ এবং গ্রেফতার করে ওই মহিলাকে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, প্রসূতি হাসপাতালে ভর্তির আগে নিঃসন্তান এক দম্পতির কাছে শিশু বিক্রির পরিকল্পনা করে রাখেন মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে।পরিকল্পনা মতো সেই দম্পতি সদ্যজাত পুত্র সন্তানকে নিতে আসেন এবং পরিচয়পত্র তৈরি করার সময় ধরা পড়ে যান হাসপাতাল কতৃপক্ষের কাছে বলে অভিযোগ।
সূত্রের খবর, মেমারির বাসিন্দা প্রসূতির সঙ্গে ১০ বছর আগে উত্তরপ্রদেশের এক ব্যক্তির বিয়ে হয়। সংসার চালাতে একটি হিমঘরে কাজও করেন তিনি৷ সেখানেই এক কর্মীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে৷ অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন ওই মহিলা৷ প্রসূতির অভিযোগ, তার স্বামী, স্ত্রী-র গর্ভে বড় হওয়া অবৈধ সন্তানকে গ্রহণ করতে নারাজ। বাধ্য হয়েই গর্ভের সন্তানকে বিক্রি করার পরিকল্পনা করেন ওই প্রসূতি। তবে শেষ রক্ষা হ’ল না।
যে মহিলাটি বাচ্চাটি কিনতে এসেছিল সে তার পরিচয় গোপন করে এসেছিল।পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই মহিলার আসল পরিচয় সামনে আসে। এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
ফোর্টিন টাইম লাইন, কালনা, পূর্ব বর্ধমান।