Purba Medinipur : সাত সকালে শহিদ স্মরণের মঞ্চে আগুন

আরও পড়ুন

শুক্রবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে তৃণমূলের শহিদ স্মরণের মঞ্চে আচমকাই আগুন।
শহিদ দিবস উদযাপনের জন্য তৈরি করা তৃণমূলের মঞ্চে দুস্কিতিদের আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। এই ঘটনায় রীতিমতো উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ।

তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, এই মঞ্চের পাশেই রয়েছে বিজেপির অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারীর লোকজনদের তৈরি করা মঞ্চ। সেই মঞ্চে কিন্তু কেউ আগুন ধরায়নি। পরিকল্পিতভাবে দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে।

২০০৭ এর ১০ নভেম্বর নন্দীগ্রামে হয়েছিল অপারেশন সূর্যোদয়। প্রতিবছর‌ই এই দিনটা জমিরক্ষা কমিটির ব্যানারে ঘটা করে পালন করে আসছে তৃণমূল। তবে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যাওয়ার পর তিনি আলাদা করে তা পালন করা শুরু করেছেন। এবারেও যথারীতি তৃণমূল ও বিজেপি দুই পক্ষ আলাদা করে নন্দীগ্রাম দিবসের অনুষ্ঠান করেছিল। কিন্তু কুণাল ঘোষের উপস্থিতিতেই বৃহস্পতিবার শাসক ঘনিষ্ঠদের শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান কার্যত তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ে পরিণত হয়।

তৃণমূলের জেলা কমিটির চেয়ারম্যান পীযূষ ভুঁইয়াকে মঞ্চে না তুলে কেন শেখ সুফিয়ানকে তোলা হয়েছে, তাই নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন পীযূষ ঘনিষ্ঠরা। তাঁরা সুফিয়ানকে স্টেজ থেকে নামানোর দাবিতে তুমুল বিক্ষোভ শুরু করেন, শুরু হয় ধস্তাধস্তিও। তাতে জখম হন বেশ কয়েকজন। অনুষ্ঠানে পৌঁছেও প্রায় ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয় কুণাল ঘোষকে। তিনি বিক্ষোভ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেও কার্যত ব্যর্থ হন। এরপর‌ই কুণাল মঞ্চে উঠে মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে বিক্ষোভকারীদের বিজেপির লোক বলে তোপ দাগেন। সেই সঙ্গে অভিযোগ করেন, বিজেপি লোক পাঠিয়ে সভা বন্ধ করার চেষ্টা করছে। শুভেন্দু অধিকারীর বিকেলের সভামঞ্চ উপড়ে ফেলে দেওয়ার হুঁশিয়ারির দেন কুণাল। তারপরেই বিশাল পুলিশবাহিনী এসে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কর্মীদের গন্ডগোল থামায়। বিকেলে সেখানে শহিদ স্মরণ করেন শুভেন্দু অধিকারীও। রাত পোহাতেই ফের তেতে উঠল গোকুলনগরের করপল্লী। জায়গায় জায়গায় শুরু হয়েছে পথ অবরোধ। অবরুদ্ধ জাতীয় সড়কও।

নন্দীগ্রামের ব্লক তৃণমূল নেতা স্বদেশরঞ্জন দাসের অভিযোগ, স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা বৃহস্পতিবার রাত দুটো নাগাদ শহিদ স্মরণ মঞ্চে আগুন লাগিয়ে দেয়। গ্রামবাসীরা টের পেয়ে ছুটে গেলে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় তারা। গ্রামের মানুষই জল ঢেলে আগুন নিভিয়ে দেয়। বিজেপির পক্ষ থেকে অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বিজেপি নেতা সাহেব দাসের দাবি, এই ঘটনা আসলে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের অনুষ্ঠানেও দুই শিবিরের মারপিট হয়েছিল। রাতে আবার মঞ্চে আগুন লাগানো হয়। এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনো যোগ নেই। তবে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।

ফোর্টিন টাইমলাইন,পূর্ব মেদিনীপুর।

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close