Medinipur : নিট-এ নজরকাড়া সাফল্য যমজ দু’ভাইয়ের

আরও পড়ুন

ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট বা সংক্ষেপে নিট-এ নজরকাড়া ফলাফল করে সাফল্য লাভ করেছে মেদিনীপুরের দুই যমজ ভাই। তাদের এমন সাফল্যে খুশি ওই পরিবারের সদস্য-সহ পুরো পূর্ব মেদিনীপুরবাসী।

সূত্রের খবর, যমজ দু’ভাইয়ের নাম চয়ন ও সায়ন হুদাইত। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলের জগন্নাথপুর গ্রামের বাসিন্দা তারা। বাবা চন্দন হুদাইত জেলার ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইলেক্ট্রিসিটি ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড বা সংক্ষেপে ডব্লিউ.বি.এস.ই.ডি.সি.এল-এর ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার পদে কর্মরত। মা সুদেষ্ণা হুদাইত তাম্রলিপ্ত মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড জেলা হাসপাতালের এস.এন.সি.ইউ বিভাগের সিনিয়র নার্স। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে তাদের লেখাপড়া শুরু। মাকে দেখেই মূলত ডাক্তারি পেশা নিয়ে আগ্রহ জন্মায় তাদের মধ্যে। তারা পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত মহিষাদলের দিশারি পাবলিক স্কুলে লেখাপড়া করতেন। এরপর রাজস্থানের সি.বি.এস.ই বোর্ডের স্কুল থেকে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির লেখাপড়া করা। একইসঙ্গে তাদের লক্ষ্য ছিল সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া। NEET-এ ৭২০ নম্বরের মধ্যে চয়ন পেয়েছেন ৬৯০ এবং সায়ন পেয়েছেন ৬৬৪। চয়নের অল ইন্ডিয়া র‍্যাঙ্ক ৬৭৯ এবং সায়নের র‍্যাঙ্ক ৩,৯৪৬। এলাকার একটিই বাড়িতে দুই পড়ুয়ার এমন সাফল্যে স্বভাবতই খুশি এলাকার মানুষ। এমন ঘটনার পর আগামীদিনে এলাকার পড়ুয়ারাও তাদের দেখে অনুপ্রাণিত হবেন। এদিকে যমজ দুই সন্তান একসঙ্গে সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষায় স্থান করে নেওয়ায় খুশি পরিবার। উল্লেখ্য, গত ৭ মে NEET-এর পরীক্ষা হয়। গত ১৪ জুন, বুধবার প্রকাশিত হয় NEET-এর ফলাফল। দেশে ২০ লক্ষ পরীক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় ১১ লক্ষ ৪৫ হাজারের বেশি এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। চয়ন, সায়নের সাফল্য কামনায় উন্মুখ সকলেই।

ফোর্টিন টাইমলাইন, মেদিনীপুর।

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close