চার দশকের মাতৃমণ্ডলী আজও অনন্ত যৌবনা, প্রতিষ্ঠাতা সদস্যরা একে একে এ পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নিলেও অগ্রজদের সেবার ধারা অব্যাহত রেখেছেন তারা। সংগঠনের উদ্দেশ্য নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে চলেছেন বর্তমান মাতৃমণ্ডলীর সভানেত্রী দেবিনা চন্দ, সম্পাদিকা মৌসুমী চক্রবর্তী,সুপ্রিয়া ওরফে সোমা ভট্টাচার্য, কাকলি ঘোষ (মোহান্ত)-রা। তাদের সংস্থার মহিলা সদস্যারা সম্মিলিতভাবে আস্ত একটি ‘কবি প্রণাম’- উৎসবের আয়োজন করলেন বুধবার সন্ধ্যায়।রায়গঞ্জের বীরনগরের ‘করুণাধারা’, নামের ভবনে সঠিক সন্ধ্যে ৬টা নাগাদ কবি-প্রণাম অনুষ্ঠিত হয়।
কবি-প্রণাম নামাঙ্কিত অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন ড সুনীল চন্দ। অনুষ্ঠানের গোড়াতেই রায়গঞ্জ বিশ্ব বিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অতিথি অধ্যাপক তথা রবীন্দ্র গবেষক ড শিবরঞ্জন মিশ্র,রায়গঞ্জের পুরপিতা সন্দীপ বিশ্বাস, ড দীপক কুমার বর্মন, ড স্বপন কুমার পাইন, উভয়ই অধ্যাপক,রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালায়, প্রাক্তন সহকারী পরিদর্শক অব স্কুলস সুপ্রিয়া চক্রবর্তী, সর্বোপরি সাংবাদিক ড সুনীল চন্দকেও পুস্প স্তবকে বরণ করে নেন অহনা ঘোষ। উপস্থিত অতিথিরা প্রত্যেকেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবিতে পুষ্পার্ঘ নিবেদন করেন।
স্বাগত ভাষণে সভানেত্রী শ্রীমতি চন্দ বলেন, তাঁরা বিভিন্ন সমাজসেবামূলক অনুষ্ঠান করে আসছেন দীর্ঘদিন, মিটিয়ে আসছেন ‘ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স’-এর মতো সামাজিক সমস্যাও । সুদীর্ঘ ৪২ বছর আগে ১৯৮০ সালে মাতৃমণ্ডলী গঠিত হলেও বেশিরভাগ সদস্যারাই আজ প্রয়াত। তিনি নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
তাদের সংস্থা ‘মাতৃ মন্ডলী’ সরকারি সাহায্য না পেলেও ঝুলন মোহান্ত- সহ বেশ কিছু মানুষ যে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তা দেবিনাদেবী গোপন করেননি।পাশাপাশি বলতে ভোলেননি কিছুদিন আগে রায়গঞ্জের পুরপিতা সন্দীপ বিশ্বাসের সাহায্যের অবদানের কথাও। এদিন উপস্থিত শিল্পীরা রবীন্দ্র সংগীতও পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠান শেষে সকলকে ধন্যবাদ দেন শ্রীমতি দেবিনা চন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি কৃতিত্বের সঙ্গে সঞ্চালনা করেছেন সংস্থার সভানেত্রী শ্রীমতি দেবিনাদেবী স্বয়ং।