নবনিযুক্ত সভাপতি সঞ্জয় মিত্র জানিয়েছেন, রাজনীতি থেকে শিক্ষা। নতুন চ্যালেঞ্জ। বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নতিতে সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। সুর্দশনপুর দ্বারিকাপ্রসাদ উচ্চবিদ্যাচক্রের প্রাক্তন সভাপতি প্রিয়তোষ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাকে সভাপতির পদ থেকে সরানো হয়েছে। এই ধরনের কোনও চিঠি তিনি পাননি। সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেই সিদ্ধান্ত তিনি মেনে চলতে বদ্ধপরিকর।
সোমবারের পড়ন্ত বিকেলে আচমকাই একটি চিঠি প্রায় সকলের মোবাইলে পৌঁছে যায়। সেই চিঠির মূল প্রতিপাদ্য ছিল- রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে ১৪টি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি পরিবর্তন হয়েছে। মোট ১৪ জন সভাপতির নাম থাকলেও তাদের মধ্যে মাত্র দু’জন সভাপতি অপরিবর্তিত রয়েছেন। এরা হলেন- রায়গঞ্জ গার্লস হাইস্কুলের সভাপতি কেয়া চৌধুরী এবং মাড়াইকুড়া ইন্দ্রমোহন উচ্চবিদ্যালয়ের সভাপতি দীপক দাস। এই দু’জন অপরিবর্তিত থাকলেও বাকি ১২ জন সভাপতিকে পরিবর্তন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রায়গঞ্জ থানা এলাকায় যে ১২ জন সভাপতি বদল হয়েছেন তাদের মধ্যে দশজনই রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী ঘনিষ্ঠ। বাকি দুজন অর্থাৎ মানস ঘোষ এবং দীপক দাস রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মনের অনুগামী বলে খবর। তবে সত্যজিৎ বর্মনের ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন-তিনি মানস ঘোষ এবং দীপক দাস-এর নাম রাখতে হবে বলে গো ধরায় বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী বৃহত্তর স্বার্থে বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি তালিকা মেনে নিতে বাধ্য হয়েছেন। যদিও কৃষ্ণ কল্যাণীকে টাইমস ফোর্টিন বাংলা-র তরফে ফোনে পাওয়ার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
উল্লেখ্য, যে সমস্ত বিদ্যালয়ের সভাপতি পরিবর্তিত হয়েছে, সেই বিদ্যালয়গুলি হ’ল- সুর্দশনপুর দ্বারিকাপ্রসাদ উচ্চবিদ্যাচক্রে ছিলেন প্রিয়তোষ মুখোপাধ্যায়, হলেন প্রদীপ আগরওয়ালা, করোনেশন উচ্চ বিদ্যালয়ে ছিলেন তিলক চোধুরী, হলেন গোবিন্দ কল্যানী, রামকৃষ্ণ বিদ্যাভবনে সভাপতির পদে কেউ ছিলেন না, হলেন তপন নাগ। টেন ক্লাস গালর্স হাইস্কুল হলেন সুরেশ আগরওয়ালা, দেবীনগর কৈলাশ চন্দ্র রাধারানী উচ্চ বিদ্যাপিঠের সভাপতির দায়িত্বে কেউ ছিলেন না। হলেন সঞ্জয় মিত্র। মোহনবাটি পার্বতীদেবী বালিকা বিদ্যালয়ে হলেন সৌরভ দাস। রায়গঞ্জ মোহনবাটি হাইস্কুলে ছিলেন রতন মজুমদার, হলেন দেবব্রত ভৌমিক। সুভাষগঞ্জ হাইস্কুলে ছিলেন রজত ঘোষ হলেন প্রমিতা দেব। বাহিন হাইস্কুলে ছিলেন দুলাল চন্দ্র দাস, হলেন মানস ঘোষ। দেবীনগর গয়ালাল রামহরি উচ্চবিদ্যাপীঠে ছিলেন শেখর পাল হলেন শেখর মন্ডল। উদয়পুর বালিকা বিদ্যানিকেতনে ছিলেন অজয় সরকার, হলেন রাজেশ নন্দী। সুভাষগঞ্জ গালর্স হাইস্কুলে হলেন শঙ্কর রায় চৌধুরী। একযোগে রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে ১২ টি বিদ্যালয়ে সভাপতি পরিবর্তন আগে কখনও হয়নি। সুর্দশনপুর দ্বারিকাপ্রসাদ উচ্চবিদ্যাচক্রের প্রাক্তন সভাপতি প্রিয়তোষ মুখোপাধ্যায় জানান, তার কাছে এধরনের কোনও চিঠি আসেনি। তবে রাজ্য সরকার যদি কোনও সিদ্ধান্ত নেয় তা তিনি মানতে বাধ্য থাকবেন। নবনিযুক্ত সভাপতি সঞ্জয় মিত্র জানিয়েছেন, রাজনীতি থেকে শিক্ষাঙ্গনে প্রবেশ করা। নতুন চ্যালেঞ্জ। সরকার তাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে সেই দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবেন। স্কুলের সার্বিক উন্নতিই হবে তার প্রধান লক্ষ্য।
উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ থেকে উত্তম পালের রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।