বিজেপি-র নবান্ন অভিযানের সমাবেশের পরই রায়গঞ্জের ভারতীয় জনতা পার্টির সভাস্থলের পাশে এবং শহরের বিভিন্ন এলাকায় মমতা বন্দোপাধ্যায়ের “লজ্জা” পোষ্টার পড়ল। এই পোষ্টারকে ঘিরে শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক চাপানো-উতর। রায়গঞ্জের সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীর দাবি, সাধারণ মানুষের অভিজ্ঞতার নিরিখেই এই পোষ্টার লাগানো হয়েছে। এই পোষ্টারের সঙ্গে বিজেপি-র কোনও সম্পর্ক নেই। বিজেপি এই পোষ্টার নিয়ে দায় ঝেড়ে ফেললেও মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিভিন্ন কার্যকলাপের সমালোচনা করতে ছাড়েননি দেবশ্রী।
অন্যদিকে, বিজেপি-র এই কার্যকলাপের তীব্র বিরোধিতা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলকংগ্রেস নেতা অরিন্দম সরকারের দাবি- বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের যতই কুৎসা করুক না কেনও তাতে তাঁর কোনও ক্ষতি হবে না। রাজ্যের মানুষ মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কার্যকলাপে সন্তুষ্ট। দেশ বিরোধী বিজেপিকে আগামী লোকসভা নির্বাচনে দেশ থেকে উৎখাত করতে বধ্য পরিকর মানুষ।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রায়গঞ্জ রেল স্টেশন ময়দানে নবান্ন অভিযান সফল করতে এক বিরাট জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী-সহ আরও অনেকেই। সভা শেষের পরই রাতের অন্ধকারে সভাস্থলের পাশে এবং শহরের বিভিন্ন এলাকায় মমতা বন্দোপাধ্যায়ের লজ্জা পোষ্টার পড়ে।
রায়গঞ্জ থেকে বিশেষ প্রতিনিধির রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।