Raiganj : প্রেম নিবেদনের মৃগয়াভূমি রায়গঞ্জের কুলিক ইকো পার্ক ! প্রশাসনের দরজায় গ্রামবাসীরা

আরও পড়ুন

পোড়ায়না, পোড়ে – প্রেম ! মানুষের আদিম প্রবৃত্তির গল্প গাঁথা ড এস ওয়াজেদ আলির কথায় – ‘সেই ট্র্যাডিশন আজও সমানে চলছে’ রায়গঞ্জের কুলিক পাড়ের ইকো পার্কে। সেখানে দলে দলে ভিড় করছেন যুবক-যুবতীরা। তারা কেউ বা মোটরবাইক, কেউবা ৪ চাকায় চেপে অনেকেই টোটোয় করে পৌঁছে যাচ্ছেন সাতসকালে। কাটিয়ে দিচ্ছেন সন্ধ্যে পর্যন্ত। সেখানে চলছে রীতিমতো দৃশ্য দূষণ। গ্রামবাসীদের কথায়, ‘দেখলে বোঝার উপায় নেই, আমরা কি সভ্য সমাজে বাস করছি, নাকি আদিম প্রবৃত্তি মেটাতে বেছে নিয়েছি রায়গঞ্জের কুলিক ইকো পার্ক-কে’। যা রীতিমতো ‘না-পসন্দ’ এযুগের ছুঁৎমার্গহীন মানুষেরও। এঁরা রে রে করে ময়দানে নেমে পড়েছেন প্রতিবাদ জানাতে। তাঁরাই আজ কার্যত প্রতিবাদে সরব। শুধু দৃশ্য দূষণ ঠেকাতেই নয়, নিজেদের সন্তান-সন্ততিকেও সামাজিক অবক্ষয়ের হাত থেকে বাঁচাতে। এমনই প্রতিবাদের সাক্ষী রায়গঞ্জের কুলিক পাড়ের সোহারইয়ের মণিপাড়া গ্রাম। এই মানুষগুলি প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন, কিন্তু দেখলেন – না, তাদের হুমকির মুখেও পড়তে হচ্ছে। তাই প্রায় দুই শতাধিক মানুষের সাক্ষর সংবলিত চিঠি সংগ্রহ করে প্রশাসনের দরজায় ভিড় করছেন। চাইছেন সুস্থ সমাধান, সুপরিবেশ ফিরে আসুক রায়গঞ্জের কুলিক ইকো পার্ক-এ। পাখির কোলাহলের সঙ্গে সঙ্গে রায়গঞ্জের সর্বস্তরের মানুষ নির্ভয়ে, নিরুপদ্রবে যাতায়াত করুক এই উদ্যানে।

যদিও জনসংখ্যার বৃদ্ধির আনুপাতিক হারে প্রেম পর্বের পরিমাণ বাড়েনি। বৃদ্ধি পায়নি নারী-পুরুষদের বেয়াদপীর প্রবণতাও। তথাপি হাতে গোণা যে ক’জন নারী-পুরুষ প্রেমের উপাখ্যানকে চালিয়ে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর তারাই হৈ হৈ করে নেমে পড়েছেন প্রেম নিবেদনের ময়দানে। দলে দলে ভিড় করছেন রায়গঞ্জের কুলিক ইকো পার্ক-এ। সেখানে নিয়মিত চলছে অবৈধ কাজকর্ম বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ।

যদিও প্রশাসনিক কর্তা-ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, বিষয়টি নিন্দনীয়। তবে ওই নারী-পুরুষদের গ্রেফতার করে আনলে নিম্নবিত্ততো বটেই, মধ্যবিত্ত বা বিত্তশালী পরিবারের মানুষদের সঙ্গেই কলহে নেমে পড়তে হবে। তাই অভিভাবক-অভিভাবকদের উচিত তাদের ছেলে মেয়েদের সংযত করা। অন্যথায় কড়া পদক্ষেপই নিতে হবে প্রশাসনকে। যা নতুন প্রজন্মের যুবক-যুবতীদের ‘ক্যারিয়ারে’ আঘাত আসতে পারে। যদিও বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো ভাবাচ্ছে প্রশাসনিক কর্তা-ব্যক্তিদের। প্রশাসনের পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই যেনও যুবক-যুবতীরা সাবধান হয়ে যান। অন্যথায় কঠোরতম রাস্তায় নেমে তাদেরকে আদালতে চালান করতেও পিছপা হবে না পুলিশ প্রশাসন। রায়গঞ্জের যুবক-যুবতীরা আগেই সচেতন হন কি না, সেটাই এখন দেখার।

 

Fourteen Time Line, Uttar Dinajpur

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close