Uttar Dinajpur : খুন করেই কি ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল ললিতকে ? প্রশ্ন মহিষবাতানে

আরও পড়ুন

ফাঁস লাগানো অবস্থায় এক ব্যক্তির ক্ষত-বিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ মহিষবাতান গ্রামে। খুন হওয়া ওই ব্যক্তির নাম ললিত বর্মন, বয়স ৫৭ বছর, বাড়ি ওই এলাকাতেই। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। অন্যত্র তাকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে কিনা সেবিষয়ে পৃথকভাবে তদন্তে নেমেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।

সূত্রের খবর, রায়গঞ্জ থানার মহিশবাতান গ্রামের বাসিন্দা ললিত বর্মন চলতি মাসের ৭ তারিখ থেকে নিখোঁজ ছিলেন। তিনি পেশায় এক শ্রমিক ছিলেন। ললিতবাবু সেইদিন থেকে বাড়িতে না ঢোকায় পরিবারের সদস্যরা তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে শুরু করেন। অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও ললিতবাবুকে না পাওয়া গেলে তার পরিবারের সদস্যরা রায়গঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

রবিবার সকালে মহিশবাতান গ্রামের বাসিন্দারা স্থানীয় একটি জঙ্গলে একটি মৃতদেহ দেখতে পান। এমন ঘটনার কথা চাউর হতেই গ্রামের বহু সংখ্যক মানুষ মৃতদেহটি দেখতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। জঙ্গলের মধ্যে মৃতদেহটি দেখতে পেয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এরপর খবর পেয়ে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ছুটে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। তবে কে বা কারা, কি কারনে ললিতবাবুকে খুন করছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

অন্যদিকে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের স্বামী পুলন বর্মন কি বলেন- ললিত বর্মন শ্রমিকের কাজ করতেন। ফেব্রুয়ারি মাসের ৭ তারিখ থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। তার বাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে তার মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। ললিত বর্মনকে খুন করা হয়েছে। যারা ললিত বর্মনকে খুন করেছে তাদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।

রায়গঞ্জ থেকে বিশেষ প্রতিনিধির রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close