Debeshkanti Chakraborty’s family is facing acute financial crisis: এরাজ্যের প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, ছড়াকার, সাংবাদিক এবং প্রাক্তন গ্রন্থাগারিক দেবেশকান্তি চক্রবর্তীর মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পর ভেন্টিলেশনে রয়েছেন। মঙ্গলবার তিন ঘন্টা সময় নিয়ে অপারেশনের পর চিকিৎসকেরা তাঁর মস্তিষ্ক থেকে জমাটবাধা রক্ত বার করতে সক্ষম হয়েছেন। ৭২ ঘন্টা না কাটলে কিছুই বলা যাবে না বলে চিকিৎসকেরা দেবেশবাবুর একমাত্র কন্যা শ্রাবণী চক্রবর্তীকে জানিয়েছেন। ওই চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানটি ৫ লক্ষ টাকা অস্ত্রোপচারবাবদ চেয়েছে বলে জানা গেছে। আনুষঙ্গিক খরচ গিয়ে দাঁড়াবে, প্রায় সাত লক্ষ টাকায়। এত বিপুল অঙ্কের টাকা কিভাবে জোগাড় করবেন তা ভেবেই পাচ্ছেন না খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে থাকা শ্রাবণীদেবী এবং তাদের পরিবার। তিনি জেলা প্রশাসন, স্থানীয় বিধায়ক, সাংসদ, পুর-প্রশাসক, উপ-পুর প্রশাসক, সাংবাদিকমহল এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির কাছে অর্থ সংগ্রহের জন্য কাতর আবেদন জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, সোমবার উত্তর দিনাজপুর জেলার ২৮তম বইমেলার দিনক্ষণ ঠিক করতেই রায়গঞ্জ পুরসভার সভাকক্ষে একটি মিটিং-এ যোগ দিতে গিয়েছিলেন বহুজন শ্রদ্ধেয় দেবেশকান্তি চক্রবর্তী। সেখানে চড়ার সময় টোটোয় বসে থাকা অবস্থায় অন্য একটি গাড়ির ধাক্কায় মাথায় গুরুতর আঘাত পান দেবেশবাবু। তিনি চরমতম কষ্ট সহ্য করে মিটিং শেষ করেই ঘরে ফিরেছেন। এরপর শ্রীচক্রবর্তীর শারীরিক অবস্থা সংকটজনক হলে তাঁর পরিবারের তরফে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল হয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিলিগুড়িতে স্থানান্তর করে একটি বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রে ভর্তি করেন। মঙ্গলবার রীতিমতো ঝুঁকি নিয়ে দেবেশ চক্রবর্তীর মাথা থেকে জমাট বাঁধা রক্ত বার করতে তাঁকে অপারেশনের টেবিলে তোলেন সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। মঙ্গলবার রাত পৌনে আটটা নাগাদ ৩ ঘন্টার ঝুঁকিপূর্ণ অপারেশন শেষ হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে ভয়াবহ আর্থিক সংকটের মধ্যে রয়েছে ঔপন্যাসিকের পরিবারটি। এমতাবস্থায় কারা দেবেশবাবুকে বাঁচাতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন সেটাই এখন দেখার।
ফোর্টিন ওয়েব ডেস্ক, রায়গঞ্জ