নবমীতে রোদ-বৃষ্টির লড়াইয়ে শেষমেষ কে জয়লাভ করবে তা রীতিমতো ভাবিয়ে তুলেছে উত্তর দিনাজপুরের জেলা সদর রায়গঞ্জের পুজো আয়োজক এবং রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের। প্রসঙ্গত,মঙ্গলবার অষ্টমীর সন্ধ্যা থেকেই উত্তর দিনাজপুরের জেলা সদর রায়গঞ্জের আকাশ কালো করে নেমে আসে মেঘ এবং বৃষ্টি। ক্ষণিক বাদে অবশ্য বৃষ্টি থেমে যায়, তাতে অবশ্য শহরের মন্ডপগুলিতে প্রত্যাশামতো ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি। যেহেতু মঙ্গলবার রাতে দুর্গাপুজোর আরও একদিন অর্থাৎ নবমী পুজো বাকি ছিল, তাই দর্শনার্থীরা কম সংখ্যাতেই বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন। বুধবার নবমীর সকালে কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেল রায়গঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকায়। বেলা সাড়ে এগারোটায় ফের রোদ উঠেছে। দর্শনার্থীরা চিন্তায় রয়েছেন- অষ্টমীর রাতের মতন নবমীতেও বৃষ্টি নামবে কি না!
মঙ্গলবার রাতে রায়গঞ্জ এবং তার আশপাশ এলাকার রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীরা বৃষ্টির কারণে অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বুধবার, নবমীতে তারা রীতিমতো বড় মাপের ব্যবসার আশায় খাবারের বিপুল সম্ভার সাজাচ্ছেন। বিভিন্ন পুজো কমিটির আয়োজকেরাও ডেকোরেটরদের ডেকে অষ্টমী-পুজোর রাতের বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া প্যান্ডেলগুলি নতুন করে সাজাচ্ছেন। বুধবারও মঙ্গলবারের খারাপ আবহাওয়ার পুনরাবৃত্তি ঘটবে কিনা তা অবশ্য সময়ই বলবে।
ফোর্টিন ওয়েবডেস্ক, রায়গঞ্জ।