গৃহবধূকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল স্বামী-সহ শ্বশুর বাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জের হাতিয়া পালইবাড়ি এলাকায়। মৃত ওই গৃহবধূর নাম রাজমা খাতুন। পরিবার সূত্রের খবর , বাড়িতে তিনদিন ধরে রান্না না করায় বচসা চলছিল স্বামী -স্ত্রীর মধ্যে । তারপরেই রাজমা খাতুনকে মেরে ঝুলিয়ে দেয় শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। পরে তারাই আবার স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে এলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করলে তার মরদেহ সেখানে রেখেই তারা পালিয়ে যান বলেই সূত্রের খবর। এমন ঘটনা চাউর হতেই গোটা এলাকা জুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে।
প্রসঙ্গত,মৃতার পিসি সাহেবজান বলেন , গত ৪ মাস আগে ফাইজুল ইসলাম ভৌমিক নামে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় রাজমা খাতুনের । বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। এই নিয়ে বেশ কয়েকবার মেয়ে বাপের বাড়ি চলে যেত। সেখানে গিয়েও তার স্বামী তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিত। কিন্তু পরে মেয়ের বাড়ির লোকেরা বুঝিয়ে শুনিয়ে তাঁকে আবার শশুরবাড়িতে পাঠিয়ে দিত। কিন্তু এইরকম একটা ঘটনা যে ঘটতে পারে তা তারা কল্পনাও করতে পারেননি।
ইতিমধ্যেই মৃতার বাড়ির লোকেরা মেয়ের শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।