রায়গঞ্জে পুজোর কার্নিভাল নিয়ে আনন্দে ফুটছে শহর। ইতিমধ্যেই ১৫টি ক্লাব রায়গঞ্জের পুজো কার্নিভালে অংশ নিচ্ছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এদের মধ্যে রয়েছে সুদর্শনপুর সর্বজনীন, অমর সুব্রত, অনুশীলনী, প্রতিবাদ, ভারত সেবক সমাজ, বিপ্লবী, চৈতালি, অরবিন্দ স্পোর্টিং, দেহশ্রী ব্যায়ামাগার-সহ বেশ কিছু পুজো কমিটি। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত সিদ্ধান্ত ছিল- রায়গঞ্জের রবীন্দ্র ইনস্টিটিউশন ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের মতন বড় মাপের পুজো প্যান্ডেল করায় তারা স্থানীয় গীতাঞ্জলি সিনেমা হল পর্যন্ত প্যান্ডেলের কাঠামো-সহ প্রতিমা নিয়ে যেতে অসম্মতি প্রকাশ করেছে । অন্যদিকে একটি অসমর্থিত সূত্রের খবর- কংগ্রেস এবং সিপিআইএম সমর্থিত রায়গঞ্জের দুটি বড়মাপের ক্লাব যেমন বিদ্রোহী এবং শাস্ত্রী সংঘ সরকারি অনুদান পুজো উপলক্ষে প্রদেয় ষাট হাজার টাকা গ্রহণ করেনি। পাশাপাশি তারা পুজো কার্নিভালে অংশগ্রহণও করছে না বলেই খবর।
প্রসঙ্গত, উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মীনা প্রশাসনিকভাবে একটি আমন্ত্রণপত্র সংবাদমাধ্যমের মধ্য দিয়ে জনসাধারণের উদ্দেশে পাঠিয়েছেন- দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কোর তরফে’ ইন্টানজিবল কালচারাল হেরিটেজ’-এর স্বীকৃতি ও শার শারদোৎসবকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতিমা নিরঞ্জনের আগে ৭ অক্টোবর, শুক্রবার রায়গঞ্জের এন.এস. রোডের গীতাঞ্জলি মোড়ে দুর্গাপুজো কার্নিভালের আয়োজন করা হয়েছে।
এদিন সকলকে বিকেল চারটের মধ্যে গীতাঞ্জলি মোড়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন জেলাশাসক শ্রীমীনা। বিকেল পাঁচটা থেকে পুজো কার্নিভাল শুরু হবে। তবে রায়গঞ্জের প্রবীণ নাগরিকদের ধারনা- এদিনের অনুষ্ঠানের পর প্রতিমা নিরঞ্জনপর্ব মাঝরাত পর্যন্ত গড়িয়ে যাবে।
ফোর্টিন ওয়েব ডেস্ক, রায়গঞ্জ।