রায়গঞ্জের পকসো (প্রিভেনশন অফ চিল্ড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস) আদালতে দীর্ঘদিন যাবৎ বিচারক না থাকায় আন্দোলনে নামলেন আইনজীবীরা। তাদের অভিযোগ,বিচারকের অবর্তমানে রায়গঞ্জের পকসো আদালতে মামলার পাহাড় জমে আছে। আইনের অধীনে অনেক অভিযুক্ত বিচারাধীন অবস্থায় বন্দি রয়েছেন। তাদের সুবিচারের জন্য এদিন রায়গঞ্জ আদালতচত্বরে আন্দোলন শুরু করেন আইনজীবীরা। কার্যত আন্দোলনের মূল দাবি ছিল- যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রায়গঞ্জ পকসো আদালতে বিচারপতি নিয়োগ করতে হবে। অন্যথায় তারা আগামীদিনে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য হবেন।
প্রসঙ্গত,প্রিভেনশন অফ চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেনসেস বা পকসো আইনে কি বলা আছে। শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত অভিযোগে আইনি ব্যবস্থা নিতে ২০১২ সালে চালু হয় এই আইন। শিশুরা তো বটেই, দশ বছর পরেও পকসো আইন নিয়ে বিস্তারিত জানেন না অনেক অভিভাবকও। কয়েক বছর আগে জিডি বিড়লা-সহ একাধিক স্কুলে শিশু পড়ুয়াদের উপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠে। এই ধরনের ঘটনা রুখতে ও পড়ুয়াদের সজাগ করতে পকসো আইন নিয়ে বই প্রকাশ করেছে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন।
স্কুলগুলিতে যৌন নির্যাতন রুখতে নয়া উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন। পকসো আইনকে সহজভাবে ব্যাখ্যা করে পড়ুয়াদের জন্য প্রকাশ করা হয়েছে বই ও পোস্টার। বিভিন্ন স্কুলে এই বই ও পোস্টার পাঠানোও হয়েছে। বই মারফত শুধু শিশুরাই নয়, অভিভাবক ও শিক্ষক-শিক্ষিকারাও পকসো আইন নিয়ে সচেতন হবেন। এমনটাই মনে করছে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন। বুধবার বিকেলে রায়গঞ্জ আদালতে দাঁড়িয়ে আন্দোলন সমর্থনকারী আইনজীবী দীপ্তেশ ঘোষ কি বলেছেন শুনুন-
অন্যদিকে উপস্থিত বহু মানুষই রায়গঞ্জের পকসো আদালতে বিচারক নিয়োগের দাবিকে সমর্থন করে। কবে নাগাদ বিচারপতির মেলে মেলে সেটাই এখন দেখার।