শুক্রবার বিজেপি উত্তরবঙ্গ বনধ থেকেছে ১২ ঘন্টা। সকাল ছ’টা থেকেই শুরু হয়েছে উত্তরবঙ্গের আটটি জেলাতেই প্রশাসন অচলের চেষ্টা শুরু বন্ধ সমর্থকদের । চলছে বন্ধ সমর্থকদের ধর পাকড়ও। পথচারী এবং ব্যবসায়ীদের মনে সাহস জোগাতে বেলা ১০টা থেকেই চলছে পুলিশের রুট মার্চ। রায়গঞ্জের বিদ্রোহী মোড়, বিবেকানন্দ মোড়, মোহনবাটি এলাকায় রুট মার্চ করে চলেছে প্রশাসনিক কর্তব্য পালনে।
সরকারি যানবাহন রাস্তায় নামলেও বেসরকারি যানবাহনকে দেখা যায়নি। প্রসঙ্গত, উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের এক তরুনীর মৃত্যুকে ঘিরে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ওই ব্লকের সাহেবঘাটা-সহ কালিয়াগঞ্জ থানা চত্বর । পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার ভোরে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করে বলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সমগ্র উত্তরবঙ্গে ১২ ঘণ্টার বন্ধ ডাকেন। তারই ফলশ্রুতিতে বনধকে সফল করতে বিজেপি-র কর্মী সমর্থকরা ময়দানে হই হই করে নেমে পড়েন। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিজেপি-র ডাকা বন্ ধকে বানচাল করার আহ্বান জানানো হয়েছে। কার্যত দুটি রাজনৈতিক দলের টানাপোড়েনে চিড়েচ্যাপ্টা সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী এবং যানবাহন চালকেরাও। তবে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বন্ধ ঠিকমতো পালন হয় কিনা সেটাই এখন দেখার।
রায়গঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বিশ্বনাথ দাস এর রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।