সরকারি নির্দেশকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে আগামিকাল, বৃহস্পতিবার থেকে স্কুল খেলার বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছেন সারদা বিদ্যামন্দিরের প্রধান আচার্য। এই মর্মে আচার্যের পক্ষ থেকে বিদ্যালয়ের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে একটি মেসেজ পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মেসেজ পেয়ে ছাত্রছাত্রীরা তো বটেই, অভিভাবক- অভিভাবিকারাও রীতিমতো স্তম্ভিত। অধিকাংশেরই অভিযোগ- তবে কি সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে আগামী ২৭ জুনের পরিবর্তে ১১ দিন আগেই বিদ্যালয় চালুর চেষ্টা করা হচ্ছে রায়গঞ্জের সারদা বিদ্যামন্দিরের। পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অধীনে পরীক্ষা চলা এমন একটি বিদ্যালয় কিভাবে সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করতে পারে তা নিয়ে রীতিমতো সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার দুপুরে আমাদের প্রতিনিধি হাজির হয়েছিলেন সারদা বিদ্যামন্দিরের প্রধান আচার্যের সঙ্গে দেখা করতে। তিনি বুধবার দুপুরে বিদ্যালয়ে না থাকায় তার প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। অন্যদিকে সহকারি প্রধান আচার্য রাজবল্লি পাল এবিষয়ে ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে নারাজ।
সেইসঙ্গে উত্তর দিনাজপুরের ডিআই (মাধ্যমিক) কলকাতায় উচ্চ ন্যায়ালয়ের কাজে ব্যস্ত থাকায় তার প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনা জানিয়েছেন-বিদ্যালয় খোলার বিষয়টি একমাত্র ডিআই অফ স্কুল-ই বলতে পারেন। তার পক্ষে এর বাইরে কিছু বলা সম্ভব নয়।
অন্যদিকে রায়গঞ্জের সারদা বিদ্যামন্দির নামের বাংলা মাধ্যমের বিদ্যালয়টি খোলা নিয়ে রীতিমতো ধোয়াশার সৃষ্টি হয়েছে রায়গঞ্জ শহরের । অনেক অভিভাবক-ই তাদের নাম গোপন রাখার শর্তে জানান-আগামী ২৭ তারিখের আগে তাদের ছেলেমেয়েদের তারা বিদ্যালয়ে না পাঠানোরই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
রায়গঞ্জ থেকে শুভম সরকারের রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা